নিজস্ব প্রতিনিধি: দেহ সৎকার করতে এসে নিমতলা গঙ্গার ঘাটে (Nimtala Ghat) বানের জলে ভেসে গিয়েছিলেন ৫ যুবক। সোমবার রাতে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। ৫ জনের মধ্যে এখনও পর্যন্ত দু জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকি ৩ জনের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। যদিও অসমর্থিত সূত্রে খবর, ওই দিন মোট ৭ জন যুবক বানের জলে তলিয়ে যান। তাদের মধ্যে ৪ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয় জীবদ্দশায়। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী নিখোঁজ তিন জনের মধ্যে একজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। আহিরিটোলা ঘাট থেকে দেহ উদ্ধার করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা।
নিখোঁজ তিন যুবকের খোঁজে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে ডুবুরি নামিয়র তল্লাশি চালানো শুরু হয়। এদিন সকাল ১০টার আগে থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু করে প্রশাসন। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, প্রশাসনের তরফে বার বার সতর্ক করা সত্ত্বেও ওই যুবকেরা কথা শোনেননি। তাঁরা সেলফি তুলতে ব্যস্ত ছিলেন। আর সেই সময় আচমকা বান এসে পড়ায় সেই তোরে তলিয়ে যান তাঁরা। নিখোঁজ যুবকেরা সকলেই বেলেঘাটার শিবতলা এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত ১০টা ২৩ মিনিট নাগাদ গঙ্গায় বান আসে। সেই সময় নিমতলা ঘাটে বসে গল্প করছিলেন ওই যুবকেরা। তাঁরা মোবাইলে সেলিফি তুলতে ব্যস্ত ছিলেন। আচমকা বান আসায় জলের তোড়ে ভেসে যান। বানের সময় গঙ্গার জলস্তর প্রায় কয়েক ফুট বেড়ে যায় বলে জানান স্থানীয়রা।
অন্যদিকে মালবাজারের ঘটনার পর আবার এমন ঘটনায় সাধারণ মানুষের সচেতনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মাল নদীতে বিজয়া দশমীর রাতে আচমকা হড়পা বানে তলিয়ে গিয়ে ৮ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার গঙ্গার ঘাটে যে বান আসবে তা নিয়ে প্রশাসনের তরফে সাধারণ মানুষকে মাইকিং করে আগাম সতর্ক করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। কিন্তু সেই সতর্ক বার্তায় কর্ণপাত করেননি ওই যুবকরা। যার ফলে এই দুর্ঘটনা।