নিজস্ব প্রতিনিধি: কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর (CM) বাড়িতে ঢুকেছিলেন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি। পাঁচিল টপকে ঢুকে ঘাপটি মেরেছিলেন দীর্ঘ ৭ ঘণ্টা। উল্লেখ্য, গত শনিবার রাত্রি ১ টা ২০ নাগাদ ঢুকেছিলেন ওই ব্যক্তি। তাঁকেই আজ পেশ করা হয়েছিল আলিপুর আদালতে (ALIPUR COURT)। বিচারক ধৃতের পুলিশ হেফাজতের (PC) নির্দেশ দিয়েছেন। ধৃতের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজত হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম হাফিজুল মোল্লা। বয়স ৩২ বছর। ধৃতের বাড়ি হাসনাবাদে। তাঁকে জেরা করা হবে ৭ দিন ধরে। ধৃতের দাবি, তিনি লালবাজার ভেবে ঢুকে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে। পুলিশের প্রশ্ন, দীর্ঘ ৭ ঘণ্টা ধরে ঘাপটি মেরে করেছিলেন কী? কেনই বা ঢুকেছিলেন? লালবাজার (LALBAZAR) আর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির মিল নেই। তবু কেন? লালনাজারেই বা কী দরকার ছিল? ভুল হলে তখনই তিনি জানাননি কেন? করা হবে এই সমস্ত প্রশ্ন। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ধৃতের বাড়ি হাসনাবাদে। প্রশ্ন, কড়া সুরক্ষাবলয় এড়িয়ে তিনি ঢুকেছিলেন কী করে? আরও প্রশ্ন, পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কেন?
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক ভাবে পুলিশের (POLICE) ধারনা, আদি গঙ্গার দিক থেকেই সম্ভবত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যপাধ্যায়ের বাড়িতে ঢুকেছিল ওই ব্যক্তি। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালানোর পরেও কীভাবে ওই ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে পড়ে না নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মুখ্যমন্ত্রীর জন্য জেড ক্যাটাগরির সুরক্ষা রয়েছে। বাড়ির চারিদিকেই থাকেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। ওই এলাকায় অনেক সিসিটিভি ক্যামেরাও রয়েছে। তারপরেও এইসব নজরদারি এড়িয়ে কীভাবে ওই ব্যক্তি ঢুকে পড়লেন তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। সব থেকে বড় বিষয় এর আগেও একাধিকবার সাম্প্রতিককালেই আদি গঙ্গার দিক থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে অনেকেই আসার চেষ্টা করেছেন। যদিও সেই সব ঘটনা দিনের বেলায় ঘটে এবং সেই সব ক্ষেত্রে দ্রুত পুলিশ পদক্ষেপ করে। কিন্তু তারপরেও রাতের অন্ধকারে কীভাবে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ওই ব্যক্তি ঢুকে পড়ল তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। বিচারকের নির্দেশ, ধৃতের পুলিশি হেফাজত ১১ জুন পর্যন্ত।