নিজস্ব প্রতিনিধি: দুই মহিলার কথোপকথনের অডিয়ো ক্লিপ(Audio Clip) নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়(Social Media)। শুধু তাই নয়, শোরগোল পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতেও। কেননা যে দুই মহিলার কথোপকথন ঘিরে এই শোরগোল পড়েছে তাঁদের একজন তৃণমূলের এক দাপুটে নেত্রী বলে মনে করা হচ্ছে। একইসঙ্গে তাঁদের কথোপকথনে অপর এক মহিলার নাম উঠে এসেছে। মনে করা হচ্ছে তিনি রাজ্যেরই এক মন্ত্রী। সব থেকে বড় কথা ওই অডিও ক্লিপে যে দাবি উঠে এসেছে তা বেশ চাঞ্চল্যকর। সেখানে তৃণমূলের ওই দাপুটে নেত্রীকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘টাকা ছাড়া কাজ হয় না। আর কাজ না হলেই টাকা ফেরত দেওয়া হয়। জমি থেকে শুরু করে অঙ্গনওয়াড়ি চাকরি বা সরকারি চাকরি সব ক্ষেত্রেই টাকা না দিলে কাজ হয় না।’ তবে যে নেত্রীকে ঘিরে এই শোরগোল তাঁর দাবি, ‘এই অডিও ক্লিপ সত্যি নয়। আমার গলা নকল করে এই অডিও তৈরি করা তা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়া পড়া এই অডিও ক্লিপে যে দাপুটে তৃণমূল(TMC) নেত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে মনে করা হচ্ছে তিনি হলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ (শিশু ও নারীকল্যাণ) তথা জেলা মহিলা তৃণমূল সভানেত্রী মিনতি হাজরা(Minati Hazra)। কেননা অডিও ক্লিপে থাকা অপর মহিলা তাঁকে ‘মিনতিদি’ হিসাবে সম্বোধন করছিলেন। সেই মিনতিদিকে এটা বলতেও শোনা গিয়েছে যে, তিনি নিজে হাতে টাকা নেন না। তবে কাজ না হলে সেই টাকা ফেরত দেওয়া হবে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে। শুধু তাই নয়, এই অডিয়ো ক্লিপে মহিলাকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘যারা কাজ করার জন্য টাকা নিয়েছেন তাদের কথা আমি চন্দ্রিমাদিকে বলেছি। চন্দ্রিমাদি তাদের দ্রুত টাকা ফেরত দিতে বলেছেন।’ মনে করা হচ্ছে এই চন্দ্রিমাদি আদতে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তবে এই অডিও ক্লিপ সামনে আসার পরে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য(Chandrima Bhattacharya) জানিয়েছেন, ‘আমি কিছুই জানি না।আমার কিছু বলার নেই।’
এই অডিও ক্লিপকে ঘিরে যখন বিতর্ক ক্রমশ মাথাচাড়া দিচ্ছে তখন পশ্চিম বর্ধমানের সিপিএম নেতা পার্থ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, রাজ্যে চাকরি পেতে গেলে যে টাকা দিতে হয় এই অডিয়ো হল তার প্রমাণ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মিনতি। তিনি বলেন, ‘আমার গলা নকল করে এই ক্লিপ ছড়ানো হয়েছে। দুর্গাপুরের এক মহিলা এই ষড়যন্ত্র করেছেন।’ যদিও ১৬ মিনিট ২২ সেকেন্ডের এই অডিয়োর সত্যতা আছে কিনা তা যাচাই করেনি কোনও সংবাদমাধ্যমই। কিন্তু বিতর্ক থামছে না। বিজেপির দাবি, এই সরকারের আমলে চাকরি থেকে টেন্ডার, পরিষেবা থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সবই টাকা দিয়ে কিনতে হয়।