নিজস্ব প্রতিনিধি: জয় শাহ ‘হিপোক্রেসি’ করেন। দেশপ্রেমের নামে ভণ্ডামি করেন। এভাবেই অমিত শাহ পুত্রকে আক্রমণ করলেন সর্ব ভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি ‘এশিয়া কাপ’- এর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে জাতীয় পতাকাকে (NATIONAL FLAG) প্রত্যাখান করেছেন জয় শাহ।
দুবাইতে গতকাল ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেট ম্যাচ ছিল। সেখানে জয় হয়েছে ভারতের। সেখানেই দেখা গিয়েছে, একজন জাতীয় পতাকা এগিয়ে দিচ্ছেন জয় শাহের দিকে। কিন্তু ভারতের জাতীয় পতাকা না ধরে তা প্রত্যাখ্যান করছেন জয়। আর এই ভিডিও ট্যুইট করেছেন অভিষেক। হয়েছেন সরব। নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে তৃণমূলের যুবরাজ তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পুত্রকে।
অভিষেক লিখেছেন, জয় শাহ ভারতের জাতীয় পতাকা ধরতে অস্বীকার করছেন। দেশপ্রেম প্রসঙ্গে ‘হিপোক্রেসি’ বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। বলেছেন, দেশপ্রেমের নামে এঁরা ‘জুমলা’ করেন। জয় শাহের সেই ‘প্রত্যাখ্যান’ ভিডিও এখন হাতিয়ার বিজেপি বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলের। প্রশ্ন, নির্বাচনের জন্যই ‘দেশপ্রেম’? সত্যিটা প্রকাশ্যে বারবার আসে উলঙ্গ অবস্থায়।
অভিষেকের গর্জন, বিজেপি বারবার তাঁকে আক্রমণ করে ভাববাচ্যে। নাম ধরে বলার বুকের পাটা নেই। তিনি বলেন, একবার নাম ধরে তোলাবাজ বলে দেখাক, আইনের নাকানি চোবানি খাওয়ানো হবে। তারপরেই সরাসরি নাম ধরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেন তৃণমূলের যুবরাজ। বলেন, ‘শুভেন্দু বেইমান-গদ্দার-ঘুষখোর’। এদিন তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে গুন্ডা এবং সুকান্ত মজুমদারকে গদ্দার ও বাংলা ভাগের চক্রান্তকারী বলেছেন।
অভিষেক বলেন, ২১ জুলাই দৃষ্টান্তকারী জনসমাবেশের ঠিক পরের দিনই ২২ তারিখ হানা দিল ইডি। তাঁর প্রশ্ন, অন্যদিন নয় কেন? এদিন অভিষেক বলেন, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে এত বড় সভা হচ্ছে। আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে আবার কাওকে গ্রেফতার করা হবে। এই কথা বলার পরেই অভিষেক বলেন, রাজনৈতিকভাবে লড়তে না পেরেই এইসব করছে বিজেপি। আর দিল্লিতে বসে চালাচ্ছে চুরি।