নিজস্ব প্রতিনিধি: দাদাকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করে সোজা থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করল ভাই। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার বাঁশদ্রোণী (Bansdroni) এলাকায়। আচমকা এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কী কারণে এই খুন তা এখনও স্পষ্ট নয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম দেবাশিস চক্রবর্তী। তাঁর বয়স ৪৮ বছর। বাঁশদ্রোণী থানা এলাকার নিরঞ্জনপল্লিতে থাকতেন ওই ব্যক্তি। তাঁর সঙ্গে তাঁর ভাইও থাকতেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ভাইকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করার পর মঙ্গলবার গভীর রাতে আচমকা থানায় হাজির হয় দেবাশিসবাবুর ভাই। থানায় গিয়ে পুলিশকে ওই ব্যক্তি জানায়, তাঁর দাদাকে খুন করেছে সে। ওই ব্যক্তির এমন কথা শুনে হতচকিত হয়ে যান পুলিশকর্মীরা। তড়িঘড়ি অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
অন্যদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তির দাবি, দেবাশিস চক্রবর্তীকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করেছে সে। যদিও তার কথা সত্য কি না তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা। যদি খুন করে থাকে তবে কী কারণে খুন তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। খুনের আগে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ নন বলেও স্থানীয়দের একাংশ জানিয়েছেন। অভিযুক্তর আরও দাবি, তার দাদা দেবাশিস চক্রবর্তী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তাদের মায়ের মৃত্যু হয়েছে আগেই। ফলে মায়ের মৃত্যুর পর সংসার চালিয়ে দাদার চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছিল না বলে দাবি অভিযুক্তের। অসুস্থতার কারণে দাদার অসহ্য কষ্ট দেখতে পারছিল না বলে সে দেবাশীষকে খুন করেছে বলে দাবি করেছে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি।