এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

একের পর এক আত্মহত্যার ঘটনা, ভাবমূর্তি ধাক্কা খাচ্ছে মেট্রোর

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: শহরে প্রথম। রাজ্যে প্রথম। দেশেও প্রথম। আজ সেই কিনা কাঠগড়ায়। প্রায় ৪০ বছরের যাত্রাপথে তাঁর চাকার তলায় ঝাঁপ দিয়েছেন ৩৬১জন নাগরিক। তাঁদের মধ্যে ১৮৭ জনের জীবনরক্ষা করা গেলেও অকালেই ঝরে গিয়েছে ১৭৪ জন সহনাগরিকের জীবন। আর এই পরিসংখ্যানটাই বিশ্বের দরবারে চূড়ান্তভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে তুলেছে কলকাতা মেট্রোর(Kolkata Metro) ভাবমূর্তি। ৩৯ বছরে পরিবেশবান্ধব(Eco-Friendly) এই দ্রুতগামী যান একদিকে যেমন শহরের Lifeline Express হয়ে উঠেছে তেমনই হয়ে উঠেছে একশ্রেনীর হতাশাগ্রস্থ মানুষের আত্মহত্যা করার পরম প্রিয় মাধ্যম(Most Popullar Suiside Medium)। স্বাভাবিক ভাবেই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে মেট্রো কর্তাদের। কিন্তু কোনও কিছুতেই এই আত্মহত্যার প্রবণতা তাঁরা ঠেকাতে পারছেন না। জোর দিচ্ছেন প্রচারের ওপরে, যাতে এই ধরনের ঘটনা কম ঘটে। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, কমা তো দূরের কথা, তা আরও বেড়ে চলেছে।  

বাংলা ও ভারতের মধ্যে মাটির নীচের পাতালরেলের চাকা সবার আগে গড়িয়েছিল এই কলকাতার বুকেই। কালে কালে সেই রেলের পরিধি বেড়েছে অনেকটাই। এখন North South Link’র এই মেট্রোর দৌড় শুরু হয় উত্তরের দক্ষিণেশ্বর থেকে। তা গিয়ে থামে দক্ষিণের কবি সুভাষে। মাঝে ছুঁয়ে যায় দমদম, এসপ্ল্যানেড ও টালিগঞ্জ সহ একাধিক স্টেশন। শহরের বুকে নির্মাণ চলছে East West Metro’র পাশাপাশি জোকা – বিবাদি বাগ, কবি সুভাষ – বিমানবন্দর, নোয়াপাড়া – বারাসত লাইনেরও। কিন্তু মাথাব্যাথা সেই North South Link’র লাইনটিকে ঘিরেই যা কিনা শহরের Lifeline Express। চার দশক আগে তৈরি এই মেট্রোর সার্বিক পরিকাঠামো এমনই যে সেখানে স্টেশনগুলিতে Platform Screen Door বসানোই যাবে না। এই ধরনের দরজা মেট্রোর লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা সম্পূর্ণ ভাবেই আটকে দেয়। East West Metro’র পাশাপাশি জোকা – বিবাদি বাগ, কবি সুভাষ – বিমানবন্দর, নোয়াপাড়া – বারাসত লাইনের স্টেশনগুলিতে এই দরজা বসানো হচ্ছে। কিন্তু North South Link’র ক্ষেত্রে তা সম্ভব হচ্ছে না এখনই।   

মেট্রো লাইনে ঝাঁপ বন্ধ করতে Platform Screen Door দেশ-বিদেশে সমাদৃত। কিন্তু দেশের সবচেয়ে পুরনো মেট্রো লাইনে কারিগরি সমস্যায় এই প্রযুক্তি বসানোর সুযোগ প্রায় নেই। স্বভাতই নর্থ-সাউথ করিডরে আত্মহত্যা রোধে সচেতনতাকেই হাতিয়ার করছে রেল কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের দাবি, ১৯৮৪ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কলকাতা মেট্রো রেলে ৩৬১টি আত্মহত্যার চেষ্টা হয়েছে। মেট্রো কর্মীদের তৎপরতায় বানচাল করা গিয়েছে ১৮৭টি আত্মহত্যার চেষ্টা। কিন্তু ১৭৪ জন সহনাগরিকের অমূল্য প্রাণ ঝরে গিয়েছে। গোটা বিশ্বে এই রেকর্ড কোনও মেট্রোরই নেই। উদ্বেগের বিষয়, গতবছরের চেয়ে এবছর মেট্রোয় আত্মহত্যার চেষ্টা বেড়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ সালে সব মিলিয়ে এই রুটে ৬টি আত্মহত্যার চেষ্টা হয়েছিল। তার মধ্যে ব্যর্থ হয় ২টি চেষ্টা। ৪জন মারা যান। এবছর ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নর্থ-সাউথ মেট্রো লাইনে ৯টি আত্মহত্যার চেষ্টা হয়। আরপিএফ এবং মেট্রো কর্মীদের তৎপরতায় ৭টি চেষ্টা রুখে দেওয়া গিয়েছে। কিন্তু ২জনের মৃত্যু ঠেকানো যায়নি। তাই এই আত্মহত্যা রোধে যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতেও মেট্রো স্টেশনগুলিতে প্লাকার্ড, পোস্টারসহ নাগাড়ে প্রচার চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও তাতে লাভ কতখানি হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

৩ মাসের ভোট গেরোয় নতুন নাম নথিভুক্তকরণ বন্ধ স্বাস্থ্যসাথীতে, বিপাকে বহু পরিবার

ভোট বড় দায়, বামেদের মুখে ঝামা ঘষে মমতার লক্ষ্মীর ভান্ডারের পাশে বৃন্দা

শ্লীলতাহানি কাণ্ডে রাজভবনে ৩ কর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর

কেন এত সময় লাগছে? মানিকতলা উপনির্বাচন নিয়ে কমিশনকে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

আচার্য জগদীশ চন্দ্র বোস রোড থেকে উদ্ধার ১২ লক্ষ টাকা ,গ্রেফতার ২

অভিজিতের প্রার্থী পদ বাতিলের দাবি শশী পাঁজার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর