নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী কয়েক দিন উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গতে আংশিক মেঘলা আকাশ। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। শনিবার আলিপুর আবহাওয়া দফতরের(Alipur Weather Office) ডিউটি অফিসার সুপ্রিয় ভট্টাচার্য এই খবর জানান। তিনি বলেন, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩২ ডিগ্রির কাছাকাছি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৭ ডিগ্রি র কাছাকাছি। এই মুহূর্তে কোথাও কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই । আপাতত দুদিন পর আবহাওয়ার কিছু পরিবর্তন হতে পারে।পূজোর আবহাওয়ার আপডেট তথ্য আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে আগামী সপ্তাহে মঙ্গলবার নাগাদ জানানো হবে।
কলকাতার ক্ষেত্রে আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তিকর গরম যেটা আমরা অনুভব করছি সেটি আগামি দুই থেকে তিন দিন এখন বজায় থাকবে। কলকাতার ক্ষেত্রে দিনের বেলা ৩২ ডিগ্রি থেকে ৩৩ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা থাকবে আগামী দুই থেকে তিন দিন। রাতের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে শনিবার যান সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী।সিকিমের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী(CM) প্রেম সিং তামাং। সপ্তাহখানেক আগেও চিত্রটা একেবারেই আলাদা ছিল। সামনেই পুজো। সিকিমে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে গিয়েছিল।
কিন্তু মঙ্গলবার ভয়াবহ অভিশপ্ত রাতের পর থেকে উত্তর সিকিম কার্যত ধ্বংসস্তূপ। একের পর এক বড় বড় ইমারত গুলি ভেঙ্গে ধুলিস্যাৎ হয়ে গিয়েছে। প্রচুর মানুষ গৃহহীন হয়ে অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। এদিন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কিছু এলাকা পরিদর্শন করেন। তাঁর সাথে ছিলেন আধিকারিকগণ। ভালো করে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন তিনি সবকিছু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেন। কোথায় কিভাবে কতটা ক্ষতি হয়েছে যাবতীয় বিষয় পর্যবেক্ষণ করেন তিনি।
সমতল থেকে কার্যত সিকিমের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। বাস চলাচল বন্ধ ,কেবলমাত্র ছোট ছোট গাড়ি গুলি ঘুর পথে লাভা হয়ে সিকিম যাচ্ছে। এখনো প্রচুর পর্যটক আটকে রয়েছেন। ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী জোর কদমে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। এদিন সমতল শহর শিলিগুড়িতে দেখা যায় ডিএসওর তরফ থেকে সিকিমের বিপর্যয়ের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে। শিলিগুড়ির বিধান মার্কেট এলাকায় ডি এস ওর(DSO) তরফ থেকে রীতিমতো মাইকিং করে সিকিম(Sikkim) বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের আর্থিক সাহায্য করার আবেদন জানানো হয়। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে অনেকেই আর্থিকভাবে সাহায্য করার জন্য হাত বাড়িয়ে দেন ।