নিজস্ব প্রতিনিধি: উনিশের লোকসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ(Murshidabad) জেলার সাগরদিঘী বিধানসভা কেন্দ্র(Sagardighi Assembly Seat) থেকে বিজেপি প্রার্থী মাফুজা খাতুন পেয়েছিলেন ৫৪ হাজারের বেশি ভোট। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সেই ভোট কমে ৪৫ হাজার হলেও দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছিল বিজেপি। কিন্তু এবার যখন সাগরদিঘীতে উপনির্বাচন(Bye Election) হল তখন বিজেপির ভোট নেমে গেল ২৫৮১৫টিতে। শুধু তাই নয়, বিজেপি প্রার্থীর জামানতও বাজেয়াপ্ত হ্যেছে সেখানে। আর এই ঘটনায় বঙ্গ বিজেপি(Bengal BJP) নেতৃত্বের ওপর বেজায় চটেছেন দলেরই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। উনিশের ভোটে ৫০ হাজারের বেশি ভোট পাওয়ার পরেও কেন এবারে দলের প্রার্থীর জামানতটুকুও বাঁচানো গেল না, সেই ব্যাখা চেয়েই বঙ্গ বিজেপির কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে দলেরই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর তাতেই বেশ চাপে পড়ে গিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumdar) ও শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। প্রথমজন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি ও দ্বিতীয়জন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। দলের এই খারাপ ফলের দায় এরা কেউই এড়িয়ে যেতে পারেন না।
আরও পড়ুন ‘অন্তর্ঘাত’ হয়েছে সাগরদিঘীতে, মমতাকে রিপোর্ট দলের
সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে পর্যদুস্ত হওয়ার কারণ হিসাবে বঙ্গ বিজেপির নেতারা সংখ্যালঘু তত্ত্ব দিয়ে হারের কারণ ব্যাখ্যা করছেন। কিন্তু তা মানতে নারাজ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই হারের প্রকৃত কারণ ব্যাখ্যা করে শীঘ্রই দিল্লিতে এ ব্যাপারে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে। রাজ্যের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের প্রেক্ষিতে গোটা বিষয়টিকেই রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। সাগরদিঘী বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফল বলছে এখানে জয়ী প্রার্থী বায়রণ বিশ্বাস পেয়েছেন ৪৭.৩৫ শতাংশ ভোট। প্রাস্ত তৃণমূল পেয়েছে ৩৪.৯৩ শতাংশ ভোট। বিজেপি পেয়েছে ১৩.৯৪ শতাংশ ভোট। সংখ্যার হিসাবে বায়রণের ঝুলিতে গিয়েছে ৮৭৬৬৭টি ভোট। তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিষ বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছেন ৬৪৬৮১টি ভোট। সেই জায়গায় বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহা পেয়েছেন মাত্র ২৫৮১৫টি ভোট। অথচ ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই সাগরদিঘী থেকেই বিজেপি প্রার্থী মাফুজা খাতুন পেয়েছিলেন ৫৪ হাজারের বেশি ভোট। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সেই ভোট কমে ৪৫ হাজার হলেও দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছিল বিজেপি। মাত্র দু’বছরে লক্ষ্যণীয়ভাবে কীভাবে কমে গেল বিজেপির ভোটপ্রাপ্তির হার। সেটাই বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বের কাছে জানতে চান দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
