নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি ঘটছে হাওড়া ও কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে। বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মুখ না করেই বাংলার জনগনের কাছে ভোট ভিক্ষা চাইতে গিয়েছিল বিজেপি। ফল হাতেনাতে পেয়েছে, এবার দুই যমজ শহরের পুরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী না ঠিক করেই ভোটে নামছে রাজ্য বিজেপি। মঙ্গলবার সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। কালীপুজোর আগেই রাজ্যের তরফে ডিসেম্বরে দুই পুরসভা হাওড়া ও কলকাতায় ভোট করাতে চেয়ে চিঠি পাঠানো হয় কমিশনে। সেই চিঠির জবাবে রাজ্যের সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তাই ভোট প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও শাসকদল। বিরোধী শিবিরে থেকে চুপচাপ বসে না থেকে বিজেপিও রাস্তায় নামতে প্রস্তুত।
কিন্তু দুই পুরসভার নির্বাচনেই মেয়র মুখ দিতে চাইছে না বিজেপি। অর্থাৎ ফলাফল আগেভাগেই বুঝে অজুহাতের রাস্তা খুঁজে রাখল রাজ্য বিজেপি, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই বিষয়ে মঙ্গলবার দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘ ‘সর্বশক্তি দিয়ে পুরভোটে লড়াই করবে বিজেপি। আমরা চেয়েছিলাম বিধানসভা নির্বাচনের আগে পুরভোট হোক। কিন্তু, তা হয়নি। দুই বছর আগে থেকেই আমরা বিভিন্ন জেলায় জেলায় শক্তি বাড়াচ্ছি। পুরএলাকাগুলিতে সংগঠন মজবুত করছি। সর্বশক্তি দিয়ে পুরসভা নির্বাচনে লড়াই করব। কাউকে মেয়র হিসেবে মুখ করে নির্বাচনে লড়াই করতে নামছি না। ফলাফল দেখে এই বিষয়ে আলোচনা করা হবে।’
দিলীপ বাবু ভোটে যেতে চাইলেও উল্টো সুর গাইছে বঙ্গ বিজেপি। কেন মাত্র দুটি পুরসভাতে নির্বাচন হবে? এই দাবি জানিয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছে রাজ্য বিজেপির নেতারা। তাদের দাবি ফেব্রুয়ারি মাসেই সমস্ত পুরসভার ভোট একসঙ্গে করা হোক। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের চিঠি অনুযায়ী আগামী ১৯ ডিসেম্বর ভোট করাতে প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন। সেই কথাই মঙ্গলবার জানিয়েছে রাজ্যে নির্বাচন কমিশন। কলকাতা পুরসভার সমস্ত ওয়ার্ডে ভোট হলেও হাওড়াতে মাত্র ৫০ টি ওয়ার্ডে ভোট হবে বলে জানা গিয়েছে। বাকি ওয়ার্ডকে বালি পুরসভা পৃথক করে আলাদাভাবে নির্বাচন করাতে চায় রাজ্য।