নিজস্ব প্রতিনিধি: বাতিল হয়ে গেল বঙ্গ বিজেপির কালীপুজো কর্মসূচি। একটি তথ্যচিত্রের পোস্টার প্রকাশ্যে আসার পরেই শুরু হয়েছিল কালী বিতর্ক। পক্ষে- বিপক্ষে শুরু হয়েছিল মত জাহির। ধর্ম বিতর্ক জুগিয়েছিল শিল্প মাধ্যম থেকে রাজনীতিতে। তারপর বিজেপি কখনও দেবী কালিকার ছবি কাওকে উপহার দিয়েছে আবার কখনও বা দ্বারস্থ হয়েছিল তৎকালীন রাজ্যপালের। এর মাঝেই বঙ্গ বিজেপি ঘোষণা করেছিল দলের পক্ষ থেকে কালী পুজো করা হবে। তবে ধর্মের রাজনীতি করা হচ্ছে বলে তৃণমূল সহ বিভিন্ন বিজেপি বিরোধী দল জানিয়েছিল প্রতিবাদ।
বঙ্গ বিজেপির সিদ্ধান্ত ছিল, ২৮ জুলাই রাজ্য সফর দফতরের সামনে হবে কালীপুজো। তবে, কালীপুজোর সময় নয় এখন। তবু কোনও কারণ ছাড়াই এই বিতর্কের আবহে বিজেপির কালীপুজো করার সিদ্ধান্তকে ‘ধর্মের রাজনীতি’ বলেই মনে করেছে এক ব্যাপক অংশ। উল্লেখ্য, এর আগে বিজেপিকে দেখা যায়নি এভাবে কালীপুজো করতে। এর আগে দেবী দুর্গা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। তোলা হয়েছিল সেই প্রশ্নও।
তারপর পুজোর ঠিক ২ দিন আগে মঙ্গলবার প্রকাশ্যে এল একটি খবর। জানা গিয়েছে, বাতিল হয়েছে বঙ্গ বিজেপির কালীপুজো করার সিদ্ধান্ত। আর এই ঘটনাকেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে ‘গেরুয়া শিবিরের পিছু হঠা’ বলে। উল্লখ্য, চাপের মুখে পড়ে গতকাল সিদ্ধান্ত বদল করেছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। আয়োজন হয়েছিল ঠিকই, তবে তা হয়েছিল ‘ধরি মাছ, না ছুঁই পানি’ ভাবে। আলোচনা সভা হয়েছিল ভার্চুয়ালি।
বিশ্বভারতীতে মাঝেমধ্যেই আলোচিত হয় লেকচার সিরিজ। এবারের বিষয় ছিল, কালীপুজোর ধারনা। এর আগেই হয়ে গিয়েছে, রাজ্য জুড়ে দেবী কালী মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক। তার উৎস ছিল, একটি তথ্যচিত্রের পোস্টার। সেই বিতর্কের মাঝেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্ত। প্রশ্ন, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্রাহ্ম উপাসনা হয়। এর আগে সাকার কোনও দেব-দেবী নিয়ে আলোচনা হয়নি। তবে কেন? প্রতিবাদ হয়েছিল একাধিকবার। বলা হয়েছিল, মূর্তিপুজো করা হয় না বিশ্ববিদ্যালয়ে, কবিগুরুর মূর্তিতেও মালা পরানো হয় না।
আয়োজন করার কথা ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সেমিনার হলে। উপস্থিত থাকার কথা ছিল, শারদআত্মানন্দ মহারাজের। তবে এসব হয়নি কিছুই। লেকচার সিরিজ হয়েছিল অনলাইনেই। উপস্থিত ছিলেন না মহারাজও।