নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজভবন এর পর এবার কলকাতার রাজপথে ফের শ্লীলতাহানির অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ৯ মে এক যুবতী শরৎ বোস রোডে (Sarat Bose Road)মহারাজা সুইটসের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই সময় কয়েকজন অজ্ঞাত দুষ্কৃতী মোটরসাইকেলে সেখানে হাজির হয়। ওই যুবতী তার এক পুরুষ বন্ধুর সাথে কথা বলছিলেন। ওই যুবতীর পুরুষ বন্ধু একটি স্কুটিতে বসেছিলেন। অভিযোগ দুষ্কৃতীরা এসে তাদের মোটরসাইকেল দিয়ে ওই পুরুষ বন্ধুর স্কুটিতে বার বার আঘাত করে। অভিযোগকারী যুবতী তার প্রতিবাদ করলে ওই দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্য রাস্তায় যুবতী এবং তার পুরুষ বন্ধুকে মারধর করে।ওই যুগলের অভিযোগ বৃহস্পতিবার সকালে শরৎ বোস রোডে এক নামী ম্যাক্সের দোকানে কচুরি খেতে গিয়েছিলেন। তখনই ১২ থেকে ১৫ জন মদ্যপ যুবক তাঁদের স্কুটিতে ধাক্কা মারে। প্রতিবাদ করায় তাঁদের মারধর এবং শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ।
শুধু তাই নয়, পুলিশে অভিযোগ জানালে গুরুতর পরিণাম হবে বলে হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। প্রকাশ্য রাস্তায় এই ধরনের হামলার ঘটনার পর ওই যুবতী এবং তার পুরুষ বন্ধু স্থানীয় টালিগঞ্জ থানায় অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেন। পুলিশ এই অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১, ৩২৩, ৫০৬ ও ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে টালিগঞ্জ থানার পুলিশ। ওই মিষ্টির দোকানে থাকা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার(CCTV) ফুটেজ এবং ১৯৭ , শরৎ বোস রোডে রাস্তায় আশেপাশে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের এবং তাদের মোটরসাইকেলকে চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে ওই যুবতীর পুরুষ বন্ধুর নাম রাহুল চৌধুরী (৩৫)।
বাড়ি বাঁশদ্রোণী এলাকার ১৫৭, সুবোধ পার্ক এলাকায়। তার বাবা সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট বি কে চৌধুরী। টালিগঞ্জ থানার(Tollyganj P.S.) পুলিশ এই অভিযোগের ভিত্তিতে অজানা দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করেছে। অতি দ্রুত দুষ্কৃতীরা ধরা পড়বে বলে কলকাতা পুলিশ দাবি করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার ছটা থেকে সাড়ে ছটার মধ্যে। রাজভবনে মহিলা কর্মচারীর শ্লীলতাহানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে যখন রাজ্যে রাজনীতি উত্তাল ,সেই সময় দক্ষিণ কলকাতায় প্রকাশ্য রাস্তায় আবার এক যুবতী দুষ্কৃতীদের হামলার শিকার হলেন।