এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

মুকুট-মতুয়ায় ভর দিয়ে পরিযায়ীদের সঙ্গে নিয়ে রানাঘাট পুনরুদ্ধারের আশায় তৃণমূল

Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: কোনওদিন যা হয়নি, সেটাই হয়েছিল উনিশের ভোটে। নদিয়া জেলার রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে(Ranaghat Constituency) ফুটেছিল পদ্মফুল। নেপথ্যে ছিল মতুয়াদের(Matua Community) সমর্থন। ওপার বাংলা থেকে আসা এই মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁদের নিঃশর্ত ভাবে নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য। যদিও তাঁদের প্রায় সবারই রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড রয়েছে। সেই নাগরিকত্ব প্রদানের আশ্বাস দিয়েই তাঁদের ভোট আদায় করেছিল বিজেপি(BJP)। উনিশের ভোটে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি জিতেছিল ২ লক্ষ ৩৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা ৭টি বিধানসভার মধ্যে ৬টিতেই জয়ী হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু এবার সেই ছবির পুনঃরাবৃত্তি ঠেকাতে বদ্ধপরিকর বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। আর এই লক্ষ্যপূরণে তাঁদের অস্ত্র হয়ে উঠেছেন, মতুয়া সমাজের তরুণ স্বচ্ছ ভাবমূর্তির যুবক, পেশায় চিকিৎসক মুকুটমণি অধিকারী(Mukutmani Adhikari)। একই সঙ্গে রানাঘাট উদ্ধারে তৃণমূল কাছে টানতে চাইছে পরিযায়ীদেরও।

নদিয়া জেলায় আছে দুটি লোকসভা কেন্দ্র। কৃষ্ণনগর ও রানাঘাট। প্রথমটির ক্ষেত্রে নির্ণায়ক ভূমিকা নেন সংখ্যালঘুরা। দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে মতুয়ারা। উনিশের ভোটে নদিয়া জেলার সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূলের দিকে থাকলেও মতুয়া ভোট গিয়েছিল বিজেপি দিকে। আর তার জেরেই দেখা যায় কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল জয়ী হলেও রানাঘাটে খাতা খুলেছিল বিজেপি। কিন্তু একুশের ভোটে দেখা যায় রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট উনিশের প্রাপ্ত ভোটের থেকে ১ লক্ষ ৯ হাজার বেড়ে গিয়েছে। উল্টে বিজেপির ভোট কমে গিয়েছে ২৩ হাজার। এখন সেই হিসাবে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল আর বিজেপির মধ্যে প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান ১ লক্ষ ২ হাজার। অর্থাৎ তৃণমূলের থেকেই রানাঘাটে বিজেপি এগিয়ে আছে ১ লক্ষ ২ হাজার ভোটে। আবার একুশের ভোটের পরে হওয়া পুরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে দেখা যায় রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। এখন আবার দেখা যাচ্ছে, যে মতুয়া ভোট ব্যাঙ্কের ওপর ভর দিয়ে বিজেপি রানাঘাটে উনিশের ভোট বৈতরনী পার হয়েছিল, সেই মতুয়া স্রোত এখন উল্টো পথে বয়ে চলেছে।

রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক তথা রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারীর নির্বাচনী প্রচারে যেভাবে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মতুয়াদের রাস্তায় নামতে দেখা যাচ্ছে তাঁর ছিঁটেফোঁটাও চোখে পড়ছে না রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ তথা প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের ক্ষেত্রে। মুকুট তৃণমূলে গেলে যে তাঁর সঙ্গে মতুয়া ভোটও চলে যাবে তৃণমূলের দিকে, সেটা সম্ভবত ভাবতে পারেননি বিজেপির মাথারা। ভাবেননি স্বয়ং জগন্নাথও। তাই CAA লাগু হয়ে যাওয়ার পরেও বিজেপির পাশে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে না মতুয়াদের। জগন্নাথের প্রচারে বিজেপির কর্মী ও সমর্থকেরা থাকছেন ঠিকই, কিন্তু মতুয়ারা? জোর গলায় দাবি করাই যায়, হ্যাঁ তাঁরাও আছে। কিন্তু বাস্তবের মাটি কিছু ভিন্ন কথাই বলছে। তবে শুধু মতুয়া ভোটে ভর দিয়েই রানাঘাটা পুনঃরুদ্ধারের আশায় বসে থাকছে না তৃণমূল। তাঁরা এই লোকসভা কেন্দ্রে মুকুটের জয় সুনিশ্চিত করতে কাছে টানতে চাইছে ৪০ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও। অনেকেই মনে করছেন, এবারে রানাঘাটে মতুয়া ভোট একচাট্টা ভাবে কিবা তৃণমূল কিবা বিজেপি কেউই পাবে না। বরঞ্চ তা ভাগ হবে ২-৩ ভাগে। আর সেক্ষেত্রে এই লোকসভা কেন্দ্রে নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে পারে সেখানকার প্রায় ৪০ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের ভোটাররা।

জোড়াফুল সূত্রে খবর, রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে পরিযায়ী শ্রমিকদের সমর্থন নিশ্চিত করতে তৃণমূল বিশেষ ভাবে জোর দিচ্ছে এবার। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের তালিকা তৈরি করে ফেলেছে তৃণমূল। ভিনরাজ্যে থাকা শ্রমিকদের একটা বড় অংশের সঙ্গে ফোনেও যোগাযোগ করছে ঘাসফুল শিবির। তাঁদের মূলত মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে, লকডাউনের সময় কীভাবে তৃণমূল এবং রাজ্যের ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। এই বিষয়টি গ্রামে গ্রামে ভোট প্রচারেও তুলে ধরা হচ্ছে। পাশাপাশি কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির সরকার কীভাবে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মহামারী পরবর্তী সময়েও বাধ্য হয়ে বহু মানুষ কেরল, রাজস্থান, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যগুলোতে কাজ যেতে বাধ্য হয়েছেন, সেটাও তুলে ধরা হচ্ছে। তবে তৃণমূলকে এই বিষয়টিও মাথায় রাখতে হচ্ছে যে, বাম প্রার্থী অলোকেশ দাস এখানে ঠিক কত ভোট কাটবেন। তবে তৃণমূল আশাবাদী, বিজেপি নাগরিকত্ব প্রদানের আশ্বাস দিয়ে যেভাবে মতুয়াদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে তার জেরে মতুয়ারা এবার বিজেপি বিমুখ হবে। পরিবর্তে তাঁদের ভোট ঢুকবে তৃণমূলের বাক্সে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

চন্দ্রকোনা এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বেধড়ক লাঠিচার্জ, রেহাই পেলেন না নাবালক, শিশু সহ গ্রামের মানুষ

ব্যারাকপুরে দিনভর অর্জুন সিংকে ঘিরে কোথাও বিক্ষোভ, কোথাও গো -ব্যাক স্লোগান

জামুরিয়াতে আম গাছ থেকে যুগলের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ

শ্রীরামপুরে দিল্লি রোডের ধারে বস্ত্রের গুদামে ভয়ঙ্কর আগুন, ঘটনাস্থলে একাধিক দমকল ইঞ্জিন

জাঙ্গিপাড়া থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পুরো টিমকে সরানো হয়েছে : মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক

বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাংলার ৭ লোকসভা কেন্দ্রে সামগ্রিক ভোটদানের হার ৭৩ শতাংশ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর