নিজস্ব প্রতিনিধি: সোমবার ব্যারাকপুরের শ্যামনগরে ছিল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (ABHISHEK BANERJEE) সভা। ব্যারাকপুরের সাংসদ (MP) অর্জুন সিংয়ের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের পর দলীয় কর্মীদের আবেদন ছিল, একটা সভা করুক তৃণমূলের যুবরাজ। সেই সভাতেই উপস্থিত হয়েছিলেন অভিষেক। উপস্থিত ছিলেন মদন মিত্র, অর্জুন সিং প্রমুখ। আর এই সভাতেই দেখা গেল সুমিত্রা মণ্ডলকে। তাঁর বাড়ি থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল ভোট পরবর্তী হিংসার। সুমিত্রাদের পরিবার বিজেপি বলেই পরিচিত।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা চলাকালীন বিশেষ আসনে ছিলেন সুমিত্রা মণ্ডল। তাঁর পরিবার বিজেপি (BJP) বলেই পরিচিত ব্যারাকপুরে। শুধু সভায় উপস্থিত হওয়া নয়, সভা চলার পুরো সময়েই তিনি বসে ছিলেন চেয়ারে। শুনছিলেন ডায়মণ্ডহারবারের সাংসদের বক্তব্য। সুমিত্রার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ আনা হয়েছিল, ভোট পরবর্তী হিংসা চালিয়েছে তৃণমূল। অভিযোগ, ের ফলেই মৃত্যু হয়েছিল শোভারানী মণ্ডলের। শোভারানীর পুত্রবধূ সুমিত্রা। উল্লেখ্য, মৃতার ২ জন পুত্রবধূ।
২ পুত্রবধূর ১ জন সুমিত্রা। তাঁকেই দেখা গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায়। ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের দাবি, তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন সুমিত্রা মণ্ডল। উল্লেখ্য, বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ এনেছিল। প্রথম থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি ছিল, এই মামলা মিথ্যা ও সাজানো। কার্যত তা প্রমাণ হতে চলেছে তৃণমূলের সভায় সুমিত্রার উপস্থিতি দেখেই। এখন দেখার তৃণমূলের যুবরাজ তাঁকে দলে নেবে না কি।
উল্লেখ্য, ৩ বছর আগে এই দিনেই ভোটের পর ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানোর দাবি নিয়ে ব্যারাকপুরে সভা করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। করা হয়েছিল দলীয় কার্যালয় পুনরুদ্ধার।