এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন তুলে দিতে চাইছে বিজেপি

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের মানুষের খাদ্য সুনিশ্চিত করতে কংগ্রেস(INC) নেতৃত্বাধীন এবং ড. মনমোহন সিংয়ের(Dr. Manmohan Singh) নেতৃত্বাধীন UPA সরকার প্রণয়ন করেছিল জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন বা National Food Security Act। অনেকেই একে NFSA বলে চেনেন। সেই আইনের মাধ্যমেই দেশের রেশন দোকান(Ration Shops) থেকে খাদ্যসামগ্রী বিলি করা হয় রেশনের গ্রাহকদের মধ্যে। এবার সেই আইনকেই তুলে দিতে উদ্যোগী হয়েছে বিজেপি(BJP)। আরও পরিষ্কার করে বলা ভাল, কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার। দিল্লির সাউথ ব্লক সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে। পরিবর্তে রেশন দেওয়া হবে Pradhan Mantri Garib Kalyan Anna Yojana বা PMGKAY’র মাধ্যমে। এতদিন NFSA’র আওতায় FCI বা Food Corporation of India এবং রাজ্যগুলির জন্য আলাদাভাবে বাজেট বরাদ্দ করা হতো খাদ্যে ভর্তুকি দেওয়ার জন্য। এবার সেটাই বন্ধ করে দিতে চলেছে মোদি সরকার। এর প্রমাণও মিলেছে সাম্প্রতিককালে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের যে বাজেট পেশ করেছেন, তাতে NFSA খাতে কোনও অর্থই বরাদ্দ করা হয়নি।

আসলে মোদি সরকারের একমাত্র লক্ষ্য সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে বিনা পয়সায় প্রধানমন্ত্রীর সর্বোচ্চ প্রকল্প। আর সেই কারণেই নির্মলা তাঁর বাজেটে NFSA খাতে কোনও অর্থ বরাদ্দ না করে যাবতীয় বরাদ্দ করা হয়েছে PMGKAY’র জন্য। কেন্দ্রের খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রকের বাজেট বরাদ্দের ১৫ নম্বর ডিমান্ডের নথি থেকে তা স্পষ্ট। তারপরও গত বাজেটের তুলনায় এবারে খাদ্যে ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা কমানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিজেপির লক্ষ্য, NFSA আইনটি তুলে দিয়ে কংগ্রেস এবং UPA সরকার সরকারের যাবতী কৃতিত্ব বা ভালো কাজের দিকগুলি কেটেছেঁটে ফেলে দেওয়া। সেই সঙ্গে ড. মনমোহন সিংকে জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে গুরুত্বহীন করে দেখানো। একই সঙ্গে অবিজেপি শাসিত রাজ্যের মানুষকে ভাতে মারার চেষ্টা। যদিও বাংলার ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রের এসব সিদ্ধান্ত বাংলায় মানা হবে না। রেশনে প্রধানমন্ত্রীর নামাঙ্কিত প্রকল্পকে তুলে ধরে কোনও প্রচার চালানো যাবে না।

PMGKAY প্রকল্পটি ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে কোভিডের জেরে লাগু হওয়া লকডাউনের সময়ে চালু করেছিল মোদি সরকার। সেই সময় থেকে প্রতিটি রেশন গ্রাহকদের জন্য সাধারণ বরাদ্দের সঙ্গে মাথাপিছু প্রতি মাসে ৫ কেজি করে অতিরিক্ত খাদ্যশস্য বিনা পয়সায় দেওয়া হতো যা ২০২৩ জানুয়ারি থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই জায়গায় সাধারণ বরাদ্দের চাল-গম, যা গ্রাহকরা আগে পেতেন, সেটাই বিনা পয়সায় দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় প্রকল্পের নাম একই রেখে। অতিরিক্ত ৫ কেজি বরাদ্দ বন্ধ হওয়ায় ২০২৩ জানুয়ারি থেকে খাদ্যে ভর্তুকি খাতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচুর অর্থ বেঁচে যাচ্ছে। ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে খাদ্য ভর্তুকি খাতে কেন্দ্র প্রায় ২ লক্ষ ৭৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছিল। সেখানে ২০২৩-২৪ বছরে এই খাতে খরচ হয়েছে ২ লক্ষ ১২ হাজার কোটি টাকা। আগামী আর্থিক বছরে এই খাতে বরাদ্দ আরও কমিয়ে ২ লক্ষ ৫ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। এবার লক্ষ্য NFSA আইনটাকেই তুলে দেওয়া।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজ্য জুড়ে পালিত হচ্ছে রবীন্দ্র জয়ন্তী,বিশ্বকবিকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন মুখ্যমন্ত্রীর  

স্বস্তির বৃষ্টি, একধাক্কায় অনেকটাই কমল বঙ্গের তাপমাত্রা

উল্টোডাঙ্গা ফ্লাইওভারে চলন্ত গাড়িতে ভয়ংকর আগুন, ব্যাপক যানজট ভিআইপি রোডে

সুপ্রিম রায়ের পরে আবির খেললেন শিক্ষকরা, কলকাতায় ফলের জুস খেয়ে অনশন ভঙ্গ

‘সুপ্রিম কোর্টে ন্যায় মেলায় খুশি’, এসএসি মামলা নিয়ে প্রতিক্রিয়া মমতার

তৃতীয় দফার ভোট শান্তিপূর্ণ, দাবি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর