নিজস্ব প্রতিনিধি: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য রাজনীতি সরগরম। পার্থ-অর্পিতার পর এই কাণ্ডে নাম উঠেছে একাধিক টলি তারকার। কুন্তল ঘোষ গ্রেপ্তার হওয়ার ঠিক পরেই ইডির তলব পড়ে অভিনেতা বনি সেনগুপ্তর। অভিযোগ, তিনি কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে প্রায় ৪৪ লক্ষ টাকা নিয়ে বিলাসহুল গাড়ি কিনেছেন। যদিও কুন্তল ঘোষ গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই তিনি গাড়িটি বেচে দেন। বনির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জ্বলজ্বল করছিল কুন্তলের থেকে নেওয়া বিপুল সংখ্যক টাকার পরিমাণ।
যদিও ইডির দাবি মেনে নেয় বনি, কিছুদিন আগে আবারও তলব পড়েছিল বনির। যেখানে প্রায় আড়াই ঘন্টা ধরে তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ চলে। আজ এই কাহিনীর নতুন মোড় নিল। সূত্র অনুযায়ী, কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দিয়েছেন বনি সেনগুপ্ত। পাশাপাশি এই ঘটনায় অন্য অভিযুক্ত সোমা চক্রবর্তীও ৫৬ লক্ষ টাকা ফেরত নিয়েছেন। এছাড়াও ইডির সূত্রে খবর, কুন্তল ঘোষের অ্যাকাউন্ট থেকে আরও যে যে অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছিল, তার মধ্যে থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রের দাবি, গতকাল বনি সেনগুপ্ত (Bony Sengupta) ৪৪ লক্ষ টাকা ফেরত দিয়েছেন এবং সোমা চক্রবর্তী (Soma Chakraborty) ৫৫ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা কুন্তলের অ্যাকাউন্টে ফেরত দিয়েছেন। সেই অ্যাকাউন্ট দুটি ইতিমধ্যেই ফ্রিজ করা হয়েছে। কুন্তলের মোট ১০ টি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, বনি যে ৫৬ লক্ষ টাকার বিলাসবহুল গাড়িতে চড়তেন, তার অধিকাংশ টাকা দিয়েছেন কুন্তল। যদিও বনি সেই সেই গাড়ি বিক্রি করে দিয়েছেন। বর্তমানে গাড়িটি রয়েছে মুম্বইয়ে। দ্বিতীয়বার জেরার মুখে এই কথাই শিকার করেছিলেন অভিনেতা অনুপ্রিয় সেনগুপ্ত তথা বনি সেনগুপ্ত। পাশাপাশি ব্যবসার কারণে কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে টাকা ঋণ নেওয়া সবটাই ফেরত দিয়েছেন সোমা চক্রবর্তী। তবে বনি, সোমা টাকা ফেরালেও বাকা টাকা উদ্ধার কীভাবে হবে, সেই নিয়েও চলছে জোর তরজা। অন্যদিকে বিরোধী দলের বক্তব্য, কুন্তলকে সামনে রেখে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি করেছে রাজ্য সরকার। তাই তৃণমূল সরকারকে বিসর্জন না দেওয়া পর্যন্ত বাংলার মানুষের মুক্তি নেই। এদিকে, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল।