নিজস্ব প্রতিনিধি: পূর্ব রেলওয়ের(Eastern Railway) শিয়ালদা ডিভিশনে(Sealdha Division) কর্মীদের অতিরিক্ত কাজ করানো হয় এই অভিযোগ তুলে ২০২১ সালে কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা করেন কয়েক জন রেলকর্মী। এই কর্মীরা মূলত ট্রেনের সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ(Signal Man) করেন। ফলে ট্রেন চলাচলে তাঁদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সেই মামলার শুনানিতেই কড়া পর্যবেক্ষণ উঠে এল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিদের কন্ঠে। সেই পর্যবেক্ষণ অবশ্য নির্দেশ হিসাবে নেমে আসেনি। কিন্তু পরিস্থিতির বদল ঘটানো যে প্রয়োজন সেটা আদালত রেলের আধিকারিকদের বুঝিয়ে দিয়েছে। তবে এটাও ঘটনা যে রেলের এখন বহু পদ ফাঁকা হয়ে পড়ে আছে। ফলে আদালতের কড়া পর্যবেক্ষণের পরেও পরিস্থিতির বদল ঘটবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
আরও পড়ুন আগামী সপ্তাহ থেকেই রাজ্যের সরকারি স্কুল-কলেজে ছুটি
কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানির সময়ে মামলাকারীদের অন্যতম তথাগত দত্তের অভিযোগ ছিল যে, তাঁদের কাজের সময় ৮ ঘণ্টা। কিন্তু প্রায়ই সেই সময়সীমা পেরিয়ে যায়। কখনও কখনও ১২ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। এমনকি অনেক কর্মীর টানা ২৪ ঘণ্টার কাজ করার উদাহরণ রয়েছে। আবার অনেক সময় হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কাজের সময় জানিয়ে দেওয়া হয়। এভাবে কতদিন চলবে আর কেনই বা তা চালানো হবে! যদিও শুনানিতে রেলের তরফে জানানো হয়, শুধুমাত্র কোভিডের সময় কর্মীর অভাবে ১২ ঘণ্টা করে কাজ করানো হত। কিন্তু এখন ৮ ঘণ্টা করেই কাজ করানো হয়। যদিও সেই দাবি মানতে নারাজ ছিলেন মামলাকারীরা। দুই তরফের বক্তব্য শুনেই কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁদের কড়া পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই স্কুলছুটির বিজ্ঞপ্তি বিকাশ ভবনের
বেঞ্চ জানায়, ‘রেলের সিগন্যাল ব্যবস্থার সঙ্গে যাত্রীদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িয়ে রয়েছে। তা কখনওই বিঘ্নিত হওয়া উচিত নয়। এই দিকটির গুরুত্ব বুঝে কর্মীদের সময়ের অতিরিক্ত কাজ যাতে না করানো হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। আর তা করবেন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। নির্দিষ্ট সময়ের বেশি কাজ করানো উচিত নয় কর্মীদের। অতিরিক্ত কাজ তাঁদের অবসাদের কারণ হয়ে উঠতে পারে। ফলে তার প্রভাব কাজের ওপরই পড়বে। আশা করছি উচ্চ আদালতের এই পর্যবেক্ষণ মাথায় রাখবেন রেল কর্তৃপক্ষ। সেই মতো তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন। নিশ্চিত করবেন কর্মীদের বরাদ্দ সময়ের বেশি কাজ করাবেন না।’