নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতির(School Teachers Recruitment Scam) ঘটনার তদন্তে নেমেছে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ED ও CBI। সেই তদন্তের সূত্রেই তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও(Abhishek Banerjee)। শুধু তাই নয়, অভিষেকের সংস্থা Leaps and Bounds Private Limited’র কার্যালয়ে গিয়েও তাঁরা তল্লাশি চালিয়েছেন। ED’র তরফে ইতিমধ্যেই ওই সংস্থার CEO অভিষেক এবং তাঁর বাবা-মার সম্পত্তির হিসাব মুখবন্ধ খামে কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিংহের এজলাসে জমা দেওয়া হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী পরশু অর্থাৎ বুধবার ২০ ডিসেম্বর সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট CBI’র তরফে বিচারপতি অমৃতা সিংহের এজলাসে পড়তে চলেছে। সূত্রের দাবি, হাতে যেহেতু সময় খুবই কম তাই এখন এই কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে অভিষেক ও তাঁরা বাবা-মার সম্পত্তি সংক্রান্ত নথি(Property Related Documents) খতিয়ে দেখার কাজ চলছে দ্রুত গতিতে একদম যুদ্ধাকালীন তৎপরতায়।
কলকাতা হাইকোর্টের তরফে আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় অভিষেকের সম্পত্তির পরিমাণ এবং তাঁরা বাবা-মা যথা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় ও লতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির বিস্তারিত নথি আদালতে জমা দিতে হবে। সেই কাজই এখন করছে CBI। ইতিমধ্যেই অভিষেক এবং তাঁর বাবা-মার তরফে বিস্তারিত তথ্য CBI’র কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। যুদ্ধকালীন তত্পরতায় সেই নথি যাচাইয়ে নেমেছেন তদন্তকারীরা। সেই কারণে সরকারি তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছেন তাঁরা। সূত্রের দাবি, গত কয়েক সপ্তাহে আলিপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের অতিরিক্ত সাব রেজিস্ট্রার অফিস থেকে Leaps and Bounds Private Limited’র ও তার ডিরেক্টরদের সম্পত্তির নথি সংগ্রহের কাজ চলছে। তদন্তকারীদের দাবি, কালীঘাট ও ভবানীপুরে Leaps and Bounds Private Limited’র নামে একাধিক সম্পত্তি রয়েছে। বিষ্ণুপুরে ওই সংস্থার পানীয় জলের কারখানা রয়েছে।
একই সঙ্গে সূত্রের দাবি, Leaps and Bounds Private Limited কী ধরনের ব্যবসায়ে জড়িত তা যাচাই করা হয়েছে। খতিয়ে দেখা হয়েছে তাদের আর্থিক লেনদেনের নথি। অভিষেক-সহ অন্যান্য ডিরেক্টরদের সম্পত্তির নথি সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। অভিষেক এবং অন্যান্য ডিরেক্টরদের কোনও পৈতৃক ও পারিবারিক সম্পত্তি রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ কারণে প্রায় গত ৩০ বছরের সম্পত্তির খতিয়ান যাচাই করা হচ্ছে বলেও CBI সূত্রের দাবি। যদিও এখনও পর্যন্ত তাঁরা বেআইনি কিছু পাননি বলেই জানা গিয়েছে। তবে চূড়ান্ত রিপোর্টে তাঁরা আদালতে কী জানান এখন সেদিকেই তাকিয়ে থাকছেন সকলে।