নিজস্ব প্রতিনিধি: ডাক তো দেওয়া হল, কিন্তু সে ডাকে কী আদৌ সাড়া দেবেন কেষ্ট! ভাবছেন সিবিআই(CBI) আধিকারিকেরা। কেননা এ কেষ্ট বৃন্দাবনে পা না রেখেই বেশ ভালই লীলাখেলা দেখাতে পারেন। সিবিআই কার্যালয়ে আসবেন বলে সটান হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হয়ে যেতে পারেন। তাই না আঁচালে বিশ্বাস নেই। কেননা এই কেষ্ট তো যে সে কেউ নন, বীরভূম জেলা তৃণমূল(TMC) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল(Anubrata Mondol)। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার অর্থাৎ আগামিকাল দুপুর ১টায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে(CGO Complex) সিবিআই কার্যালয়ে হাজিরা দিতে তাঁকে তলব করে নোটিস পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। যদিও তিনি হাজিরা দেবেন কিনা তা নিয়ে রীতিমত খটকা রয়েছে খোদ সিবিআই আধিকারিকদের মধ্যেই।
গতবছরের ২ মে অর্থাৎ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের দিনই ইলামবাজারে গৌরব সরকার নামে এক বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যে তদন্ত করছে সিবিআই। ওই ঘটনা নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করতে অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করেছে সিবিআই। গরু পাচার কাণ্ডে এর আগে একাধিক বার হাজিরা এড়িয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত নিজেই কলকাতার নিজাম প্যালেসে(Nijam Palace) সিবিআই কার্যালয়ে হাজিরা দেন বীরভূমের এই দাপুটে নেতা। সেই জিজ্ঞাসাবাদের রেশ কাটার আগাএই আবারও তাঁকে তলব করল সিবিআই। যদিও এবারে আর তাঁকে নিজাম প্যালেসের কার্যালয়ে ডাকা হয়নি, ডাকা হয়েছে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। কিন্তু তিনি আগামিকাল আদৌ হাজিরা দিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে নানান মহলে। যদিও রবি বিকালে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরা ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সিবিআই, ইডি-কে বিরোধীদের ভয় পাওয়ার দরকার নেই।
এই প্রসঙ্গে অর্জুন বলেন, ‘আমি মনে করি, এই ধরনের কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করা হয়। শাসকপক্ষই এই ধরনের কাজ বিরোধী দলগুলির ওপর করে থাকে। তাই আমি বলব, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির এ বিষয়ে ভয় পাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। আমরা রাজনৈতিক মানুষ। রাজনৈতিক পথে লড়াই করেই সব কিছুর জবাব দিতে হয়। সে ভাবেই রাজনৈতিক লড়াইয়ের মাধ্যমে এ সবের জবাব দেওয়া উচিত।’ এখন দেখার বিষয় অর্জুনের কথা অনুব্রতের কানে কতখানি যায়। নাকি তিনি আগামিকাল নতুন আবার কোনও ভেলকি দেখিয়ে বাংলার রাজনীতিতে বড়সড় কোনও চমক দিয়ে বসেন কিনা।