-273ºc,
Friday, 2nd June, 2023 3:49 am
নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) নির্দেশে গরু পাচার(Cattle Smuggling) মামলায় যেমন দুই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা CBI ও ED তদন্ত চালাচ্ছে, ঠিক তেমনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পৃথক একটি তদন্ত চালাচ্ছে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা CID-ও। এবার সেই তদন্তের জাল গুটিয়ে নিচ্ছে CID। এই ঘটনার তদন্তে নেমে তাঁরা এখনও পর্যন্ত ৪১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, ২০১৯ সালে মুর্শিদাবাদ(Murshidabad) জেলার জঙ্গিপুর(Jangipur) মহকুমার রঘুনাথগঞ্জ(Raghunathganj) সীমান্তে ১৭৩৫টি গরুকে ‘মৃত’ বলে দেখিয়ে বাংলাদেশে পাচার করে দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনায় কোটি কোটি টাকার মুনাফা কামিয়েছেন এক শ্রেনীর ব্যবসায়ী। তার থেকেও চাঞ্চল্যকর বিষয় এটাই যে এই ঘটনায় প্রত্যক্ষ মদত ও জড়িত ছিলেন দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী BSF’র বেশ কিছু আধিকারিক।
আরও পড়ুন প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ভুলে গিয়েছে মোদি সরকার, ক্ষোভ শীতলকুচিতে
CID আধিকারিকেরা ঘটনার তদন্তে নেমে জানতে পেরেছেন, রঘুনাথগঞ্জের ঘটনা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। BSF’র হাতে ধরা পড়া গরু হামেশাই পাচার হতো বাংলাদেশে আর তার বিনিময়ে এই বাহিনীর আধিকারিকেরা মোটা টাকা পেতেন পাচারকারীদের কাছ থেকে। শুধু তাই নয়, এই পাচারকাণ্ডে BSF’র পাশাপাশি পাচারকারীদের সঙ্গে রীতিমতো একটি অশুভ মুনাফা কামানোর আঁতাত গড়ে উঠেছিল রাজ্য পুলিশের এক শ্রেনীর আধিকারিক এবং অবশ্যই এলাকার কিছু তৃণমূল(TMC) নেতার মধ্যে। কার্যত BSF-Police-Leaders এই তিন আঁতাতেই চলত সেই পাচার। তাঁরা এটাও জানতে পেরেছেন যে জঙ্গিপুর মহকুমায় কর্মরত Customes এবং BSF আধিকারিকদের ‘ম্যানেজ’ করে বাংলাদেশে গোরু পাচারের কারবার চালাত এলাকারই কিছু গরু খোঁয়াড়ের মালিকেরা। এই সব খোঁয়াড় মালিকেরা BSF’র হাতে ধরা পড়া গরুগুলিকে কিছুদিন নিজেদের কাছে খোঁয়াড়ে রেখে দিত। তারপর সেগুলিকে ‘মৃত’ বলে দেখিয়ে কাগজপত্র তৈরি করে বাংলাদেশে পাচার করে দিত। এবার এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সবাইকে দ্রুত চিহ্নিত করে তাঁদের গ্রেফতার করার পথে হাঁটা দিতে চলেছেন CID আধিকারিকেরা।