নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের নানা পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির(Municipality Recruitment Scam) ঘটনায় আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ED ও CBI। সেই তদন্তের খাতিরেই CBI এদিন অর্থাৎ ২৫ জানুয়ারি কলকাতার নিজাম প্যালেসে(Nijam Palace) হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিস পাঠিয়েছিল বিধাননগর পুরনিগমের তৃণমূল কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তী(Debraj Chakrabarty) ও কলকাতা পুরনিগমের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকে(Bappaditya Dasgupta)। সেই নোটিস পেয়ে এদিন বেলা সাড়ে ১১টার কিছু আগে দুইজনেই চলে আসেন নিজাম প্যালেসে। দুইজনই সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, গতকালই তাঁরা হাতে নোটিস পেয়েছেন এবং তাঁরা তদন্তে সহযোগিতা করবেন। উল্লেখ্য এর আগে নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে দুইজন কাউন্সিলরের বাড়িতেই তল্লাশি চালিয়েছিল ED ও CBI। সেই তল্লাশি অভিযানে দেবরাজের কাছ থেকে TET’র কয়েকটি মার্কশিট এবং বদলির আবেদনপত্র পাওয়া গিয়েছিল। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বাপ্পাদিত্যের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েও চাকরি সংক্রান্ত নথি পাওয়া গিয়েছিল বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর।
কলকাতা হাইকোর্টের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত যে রিপোর্ট CBI জমা দিয়েছে, তাতে দেবরাজ এবং বাপ্পাদিত্যের নাম রয়েছে। বিচারপতি অমৃতা সিংহের বেঞ্চে জমা পড়া ওই রিপোর্টে দুই তৃণমূল নেতাকে নিয়োগ দুর্নীতির ‘এজেন্ট’ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে বলেও CBI সূত্রে খবর। তৃণমূলের ওই দুই কাউন্সিলর ছাড়াও ‘এজেন্ট’ হিসাবে মহিদুল আনসারি, জফিকুল ইসলাম, সজল কর এবং সৌরভ ঘোষের নামের উল্লেখ রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। দেবরাজ এবং বাপ্পাদিত্যের ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়ে যে নথি উদ্ধার করা হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও আদালতে জানিয়েছিল CBI। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, দুই তৃণমূল নেতার ঠিকানা থেকে পাওয়া নথি বিশ্লেষণ করার পরেই দুই তৃণমূল কাউন্সিলরকে বৃহস্পতিবার তলব করা হয়েছে। ওই নথি ধরে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলেও CBI সূত্রে খবর। সেই জিজ্ঞাসাবাদের উত্তর ঠিকঠাক না মিললে বা বক্তন্যে অসঙ্গোতি থাকলে দুই কাউন্সিলরেরই এদিন গ্রেফতারির সম্ভাবনা থাকছে বলে সূত্রে জানা গিয়েছে।