নিজস্ব প্রতিনিধি: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে চিকিৎসক যৌন কর্ম করেছিলেন এক নার্সিং ছাত্রীর সঙ্গে, এমনটাই অভিযোগ। আর সেই অভিযোগে পুলিশ হেফাজত হল কলকাতার এক হাসপাতালের চিকিৎসকের। পুলিশ অভিযুক্ত চিকিৎসককে আদালতে তুললে তাঁকে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
২০২১ সালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ হয় এক তরুণীর। বীরভূমের সিউড়ির বাসিন্দা ওই তরুণী আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিএসসি নার্সিংয়ের ছাত্রী। তাঁর কাকিমার চিকিৎসা সূত্রে ওই হাসপাতালেরই চিকিৎসক সৌম্যজিৎ গড়াই-য়ের সঙ্গে আলাপ হয় ওই ছাত্রীর। সেই সময় দুজনের মধ্যে মোবাইল নম্বরের আদানপ্রদান হয়। এর পর আলাপ ক্রমে বাড়তে থাকে। অবশেষে তা গড়ায় ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে। তরুণীর অভিযোগ, ওই চিকিৎসক তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন এক সময়। তারপর একদিন নিজের ভাড়া বাড়িতে তরুণীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন। গত মঙ্গলবার লেকটাউন থানায় ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। ওই নার্সিং ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবারই অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে লেকটাউন থানার পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, ধর্ষণ ও ভয় দেখানোর ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্তিকারীরা। বৃহস্পতিবার ধৃতকে আদালতে তোলা হলে বিচারক অভিযুক্তকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্যদিকে যার সঙ্গে এতদিন ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন, সেই ব্যক্তি বিশ্বাসভঙ্গ করায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন ওই নার্সিং ছাত্রী। অভিযুক্ত চিকিৎসকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তরুণী। এই ঘটনা নিয়ে যদিও অভিযুক্ত চিকিৎসকের দাবি, তরুণী মিথ্যা কথা বলছেন।