নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি বছরের অক্টোবর মাসের শুরুতেই পুজো। ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠী। পাঁজি অনুসরণ করলে এদিন থেকেই বাঙালির মহোৎসবের সূচনা। কিছু কিছু বনেদি বাড়িতে অবশ্য তার আগে থেকেই পুজোর ক্রিয়াকর্মাদি শুরু হয়ে যায়। তবে বারোয়ারি পুজোর সূচনা ঘটে মহাষষ্ঠীর সন্ধ্যায় বোধনের মধ্যে দিয়েই। কলকাতার বুকে অবশ্য ইদানিংকালে তৃতীয়ার মধ্যেই সব বড় বড় পুজোর উদ্বোধন সেরে ফেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। চতুর্থী থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ভিড় শুরু হয়ে যায়। তবে এবছর কিন্তু কলকাতার(Kolkata) বুকে পুজো শুরু হতে চলেছে একমাস আগে ১ সেপ্টেম্বর থেকে। ওইদিন মহানগরীর বুকে হবে বর্ণময় শোভাযাত্রা। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও থাকবেন ওই পদযাত্রায়।
বাংলার দুর্গাপুজো(Durga Puja) স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো(UNESCO)। আন্তর্জাতিক এই স্বীকৃতির প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেছেন ১ অক্টোবর দুর্গাপুজো হলেও বাংলায় পুজোর উৎসব শুরু হবে ১ মাস আগে থেকেই। একেই কোভিডের জন্য বিগত দুই বছর বাঙালি সেভাবে বাড়ি থেকে বার হয়ে মণ্ডপে মণ্ডপে ঠাকুর দেখার জন্য ভিড় করতে পারেনি। দিনের বেলায় বিগত ২ বছর দর্শনার্থীদের চোখে পড়লেও রাতের বেলা ফাঁকাই থেকেছে রাজপথ। কলকাতা সারাবছর রাতে ঘুমালেও পুজোর ৪-৫ দিন সে জেগে থাকে। ব্যতিক্রম ছিল বিগত ২ বছর। বাংলা এবারেও কোভিডের চতুর্থ ঢেউয়ের মুখে দাঁড়িয়ে আছে। তবে আগের মতো জোরদার প্রকোপ এবারে দেখা যাচ্ছে না। আর তাই মনে করা হচ্ছে এবারে পুজো কার্যত জাঁকজমক সহকারেই হবে। ফিরবে আগের ছবিই। সেই সঙ্গে উসুল হবে বিগত ২ বছরের ঘর বন্দির আক্ষেপও। আর সেই কারণেই কলকাতার বুকে ১ মাস আগে থেকেই পুজোর শুরুর কথা জানিয়ে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এখনও পর্যন্ত এটা ঠিক হয়নি যে ১ সেপ্টেম্বর ঠিক কোথা থেকে পদযাত্রা শুরু হবে। তবে সন্দেহ নেই সেই শোভাযাত্রা দক্ষিণ কলকাতা থেকেই শুরু হবে। সেই শোভাযাত্রায় ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানানো হবে। বাংলার কৃষ্টি তুলে ধরা হবে সেই শোভাযাত্রায়। থাকবে দুর্গাপুজোর মেলবন্ধন ও ঐতিহ্যের মডেলও। কার্যত এই শোভাযাত্রা পুজোর আগেই শহরের বুকে এক সুবৃহৎ কার্ণিভালের(Carnival) চেহারা নেবে। শোভাযাত্রায় মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও থাকবেন রাজ্যের বেশ কিছু মন্ত্রী ও কলকাতার বিশিষ্টজনেরা। থাকবেন টলিউডের তারকারাও। মুম্বই থেকেও বেশ কিছু তারকার আসার কথা র্যেছে সেই মিছিলে অংশ নেওয়ার জন্য। আর থাকবেন কলকাতার নানা পুজো কমিটির সদস্যরা এবং অবশ্যই সেই সব থিম শিল্পীরা যাদের হাত ধরে কলকাতার পুজো আজ বিশ্বজনীন হয়ে উঠেছে। আর থাকবেন পুজোপাগলেরা, পুজোপ্রেমীরা, পুজোর আয়োজকেরা।