নিজস্ব প্রতিনিধি : ১২ ঘণ্টা বাদে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়ি থেকে বেরোলো ইডি আধিকারিক। শুক্রবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে বিধায়কের বউবাজারের বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। বিধায়কের বাড়ি থেকে বের হন সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে। বেরোনোর সময় তাপস রায়ের মোবাইল নিয়ে যান তদন্তকারীরা।
এদিন সকালে পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির তৎপরতা শুরু হয়। এদিন তৃণমূলের একাধিক মন্ত্রী-বিধায়কদের বাড়িতে হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তৃণমূলের যে সব নেতাদের বাড়ি গিয়েছিলেন তার মধ্যে ছিলেন বরাহনগরের বিধায়ক তাপস রায়ও। এদিন ভোরে তাপসের বউবাজারের বাড়িতে আসেন ইডি আধিকারিকরা। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাপসকে। ইডি সূত্রে খবর, বরাহনগর পুরসভায় নিয়োগ নিয়ে যে বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, তাতে নাম জড়িয়েছে তাপস রায়ের। কিছুদিন আগে পুরসভার কাউন্সিলার অপর্ণা মৌলিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। তার কাছ থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছিল, সেই সূত্র ধরেই এবার তাপসকে জেরা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
এদিন ইডির তল্লাশি অভিযানের পর সাংবাদিকদের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় জানান, ‘ওরা (ইডি অফিসার) কিছু পায়নি। তবে ওরা আমার মোবাইলটা নিয়ে গিয়েছে।‘ একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘বরাহনগর পুরসভায় নিয়োগের ব্যাপারে নির্দিষ্টভাবে আমাকে কিছু জিজ্ঞাসা করা হয়নি।‘ এদিন ইডি অফিসারদের অভিযানকে কেন্দ্র করে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে তাপসের বাড়ির অফিসের সামনে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ইডির অফিসাররা চলে যাওয়ার পর তাপস রায়ের মেয়ে জানান, বাড়ি থেকে কোনও ডকুমেন্ট নিয়ে যাওয়া হয়নি। কোনও কিছুই পাওয়া যায়নি। আসলে উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবেই এই ইডির অভিযান চালানো হয়েছে। উল্লেখ্য, এদিন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর বাড়িতেও তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা। পাশাপাশি উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতেও যান তজন্তকারী আধিকারিকরা।