নিজস্ব প্রতিনিধি : লোকসভা ভোট এগিয়ে আসতেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের সক্রিয় ইডি আধিকারিকরা। শুক্রবার নাকতলায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ এক প্রোমোটারের বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এদিন মোট ছয় জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
এদিন সকাল সাতটা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে ইডি আধিকারিকরা যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ রাজীব দে নামে এক প্রোমোটারের অফিস ও বাড়িতে। রাজীবের বাড়ি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির ঢিল ছোড়া দুরত্বে। প্রোমোটিং ব্যবসায় নিয়োগ দুর্নীতির টাকা ব্যবহার করা হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতেই এদিন তল্লাশি চালালেন ইডি আধিকারিকরা। গত সপ্তাহে পার্থ ঘনিষ্ঠ বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। বাপ্পাদিত্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই কয়েকজন প্রোমোটারের কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের সন্দেহ, পাঁচ জন প্রোমোটারের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের যোগাযোগ ছিল। এই পাঁচ জনের মধ্যে রাজীব দে একজন বলে মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, দশ-বারো বছর ধরেই প্রোমোটিং ব্যবসায় যুক্ত রাজীব দে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যে রাজীবের চেনাজানা ছিল, সেটা এলাকার সকলেরই জানা।
এদিন নাকতলাতে তিনটি জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। পাশাপাশি বাঁশদ্রোনি, বালিগঞ্জেও বেশ কিছু জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এর আগে একাধিকবার এই মামলায় বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। শুধু নিয়োগ দুর্নীতিই নয়, রেশন দু্র্নীতি মামলাতেও সম্প্রতি সক্রিয় ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছে ইডি আধিকারিকদের। গত মঙ্গলবার সল্টলেক সহ কলকাতার ছয় জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা।