নিজস্ব প্রতিনিধি : অভিনেতা-সাংসদ দেবের পর এবার মুকুল রায়কে ডেকে পাঠাল ইডি। অ্যালক্যামিস্ট মামলায় কৃষ্ণনগরের উত্তরের বিধায়ককে ডেকে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার দিল্লির ইডি দফতরে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। তবে মুকুলবাবু যেতে পারবেন কিনা, সেই বিষয়টি অবশ্য স্পষ্ট নয়।
ইডি সূত্রে খবর, অ্যালকেমিস্ট মামলায় প্রায় ১৯০০ কোটি টাকা আর্থিক তছরূপের অভিযোগ উঠেছে। সেই বিষয়ে মুকুলবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের মতে, অ্যালকেমিস্টের সঙ্গে তৃণমূলের যোগ রয়েছে। এই অ্যালকেমিস্ট চিটফান্ড মামলাতেই একসময়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কে ডি সিং। ঝাড়খণ্ড থেকে তাঁর সাংসদ হিসাবে মেয়াদ ফুরোনোর আগে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কে ডি সিংকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল তৃণমূল। এই কে ডি সিংয়ের নাম উঠে আসে পরবর্তীকালে নারদ স্ট্রিং অপারেশনে। জানা যায়, এই নারদ স্ট্রিং অপারেশনে একটা সময়ে টাকা জুগিয়েছিলেন এই কে ডি সিং। যখন এই সব কর্মকান্ড চলেছিল, তখন তৃণমূলের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন মুকুল রায়। মুকুল রায় দীর্ঘদিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব সামলে এসেছেন। ফলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজনীয় বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।
এবার সারদা মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল মুকুল রায়। একটা সময়ে শোনা গিয়েছিল, সারদা মামলায় রাজসাক্ষী হতে চলেছেন মুকুল রায়। কিন্তু তারপর সারদা চিটফান্ড মামলাটি কোন দিকে এগোল, সেই বিষয়টি স্পষ্ট নয়। এরইমধ্যে মুকুল রায়ের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া ও পরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে আসার মতো নানা ঘটনাই ঘটেছে। তবে সারদা চিটফান্ড মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি। এবার আরও একটি চিটফান্ড মামলায় ডেকে পাঠানো হল মুকুলকে।
তবে মুকুল রায় যাবেন কিনা, সেই বিষয়টি অবশ্য স্পষ্ট নয়। মুকুল রায়ের ছেলে বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় জানিয়েছেন, বাবার শারীরিক অবস্থা ভালো রয়েছে। তবে তিনি কিছুই মনে রাখতে পারছেন না। ফলে দিল্লিতে বাবার পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে ইডি আধিকারিকরা যদি বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করে যান, সেটা করতেই পারেন।