নিজস্ব প্রতিনিধি: খিদিরপুর দই ঘাট থেকে সোনারপুর পর্যন্ত সাড়ে ১৫ কিলোমিটার টালি নালার দুপাশে ড্রেজিং এবং অন্যান্য সংস্কারের ৩২ কোটি টাকার কলকাতা পুরসভায় প্রোজেক্ট এর অগ্রগতি জলপথে সোমবার সরেজমিনে খতিয়ে দেখলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম(Mayor Firhad Hakim)।মেয়রের আক্ষেপ, মানুষ সচেতন নন। তাই আগের বার ফাঁকা দেখে আসা অনেক নতুন এলাকা জবরদখল হয়ে গেছে। মানুষের টালি নালাকে ভ্যাট হিসেবে ব্যবহার করার খারাপ অভ্যাস তৈরি হচ্ছে। সিঙ্গাপুরে এরকম একটা পরিত্যক্ত নোংরা খাল ছিল। এখন তার চেহারা দেখে অবাক হতে হয়।
টালি নালাকেও একদিন এরকম চেহারায় দেখতে চান মেয়র। ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে চেতলা থেকে কুদঘাট(Kudghat) পর্যন্ত সংস্কারের কাজ শেষ হবে। তারপর সেখান থেকে সোনারপুর পর্যন্ত পলি তোলা এবং অন্যান্য সংস্কারের কাজ শুরু হবে। পুরো কাজ শেষ হলে এই গোটা ১৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার এলাকায় দুদিকেই ফেন্সিং দেবে পুরসভা। উদ্দেশ্য একটাই টালি ডালাকে পরিষ্কার রেখে পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দেওয়া। সোমবার জলপথে দীর্ঘক্ষণ এই টালি নালার বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেন মেয়র(Mayor)।
মেয়র আরো বলেন, টালি নালা(Tolly Cannel) সহ শহরের পরিবেশ সুস্থ রাখতে নাগরিকদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। শুধুমাত্র ফ্রান্সিং দিয়ে টালিনালায় আবর্জনা ময়লা ফেলা বন্ধ করা পুরসভার পক্ষে একা সম্ভব নয়। মেয়র অভিযোগ করেন টালি নালা সোমবার পরিদর্শন করতে এসে তিনি দেখেছেন টলি ক্লাবের গায়ক বেশ কিছু এলাকা দখল হয়ে গেছে। যারা নতুন নতুন দখল করে বসছেন ,সরকার আর কত বাংলার বাড়ি তাদের দেবে এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মেয়র।