নিজস্ব প্রতিনিধি: শুক্রবার কুলতলির দেউলবাড়ির বাসিন্দা শঙ্কর সর্দার তিন সঙ্গীকে সঙ্গে নিয়ে সুন্দরবনের বেনিফেলি জঙ্গলে গিয়েছিলেন কাঁকড়া ধরতে। পেটের দায়ে কাঁকড়া ধরতেই হয় যতই থাকুক বাঘের আতঙ্ক। শনিবার নৌকা থেকেই টেনে হিঁচড়ে শঙ্কর বাবুকে নিয়ে যায় ডোরাকাটা। বাঘের হামলায় গুরুতর জখম হন শঙ্কর। যদিও তাঁর সঙ্গে থাকা সঙ্গীদের সাহায্যেই বাঘকে তাড়ানো যায়। পরে আহত অবস্থায় ওই মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু বাঘের থাবায় গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে সোমবার রাতেই মৃত্যু হয় শঙ্করের। কিন্তু তাঁর মৃত্যু যেন এক নতুন বার্তা দিয়ে গেল চিকিৎসা মহলে। শঙ্করের মৃত্যু হলেও তাঁর পরিবারকে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আর্জি জানান চক্ষুদানের জন্য।
কিন্তু কিছুতেই প্রথমে রাজি হন নি শঙ্করের পরিবারের লোকজন। তারপর ভবানীপুর থানার পুলিশ, ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও পিজির চিকিৎসকেরা উদ্যোগ নিয়ে মৃত মৎস্যজীবীর পরিবারকে বোঝান। যাতে পুরো বিষয়টি বুঝতে পেরেই রাজি হয়ে যান। শঙ্করের চক্ষুদান করে বিরল নজির গড়েন তাঁর পরিবারের লোকজন। এর ফলে মৃত শঙ্করের চোখ দুটি দিয়ে দেখতে পাবেন একজন অন্ধ মানুষ। এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারেই মৃত্যু হয় বাঘের হামলায় জখম মৎস্যজীবী শঙ্কর সর্দারের। তাঁর মৃত্যুর পর চোখ দুটি নেত্রালয়ে দান করলেন মৃতের পরিবার। যাতে বাহবা দিয়েছেন চিকিৎসক মহল।
হাসপাতালের তরফে শঙ্করের পরিবারের হাতে সেই বিষয়ে মানপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে এই কাজ যাতে আরও বেশি করে করানো সম্ভব হয় সেই বিষয়ে উদ্যোগ নিচ্ছে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।