নিজস্ব প্রতিনিধি: নিঃশব্দে বাংলার মন্ত্রিসভায় ঘটে গেল দফতর বদলের ঘটনা। রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর(Minority Development Department) থেকে সরিয়ে দেওয়া হল মন্ত্রী মহম্মদ গোলাম রব্বানিকে(Muhammad Golam Rabbani)। অন্তত নবান্ন সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে, কেননা সরকারি ভাবে এখনও কিছু ঘোষণা করা হয়নি। শুধু তাই নয়, এটাও জানা গিয়েছে, রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের কাজকর্মে খুব একটা খুশি নন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। কার্যত রীতিমত অসন্তুষ্ট তিনি। আর তাই রব্বানিকে সরিয়ে এবার সেই দফতরের দায়িত্ব নিজের হাতেই তুলে নিলেন তিনি। দফতরের নিত্যদিনের কাজকর্ম এবার থেকে দেখবেন তিনিই। তবে এখনও এই রদবদল সংক্রান্ত কোনও বিজ্ঞপ্তি এখনও জারি হয়নি।
আরও পড়ুন শান্তিপ্রসাদকে ঘিরে আদালতে কড়া ভর্ৎসনার মুখে CBI
এই সিদ্ধান্তের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য সংখ্যালঘু উন্নয়ন পর্ষদও গঠন করা হবে। সেই পর্ষদের মাধ্যমে রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নয়নের দিকে নজর রাখার পাশাপাশি তাঁদের ক্ষোভ-বিক্ষোভের দিকে নজর রাখা হবে। তবে এই পর্ষদের চেয়ারম্যান কে হবেন তা এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্যের সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের দিকে কড়া নজর রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের জন্য একাধিক প্রকল্পও এনেছেন। সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের জন্য সম্প্রতি বিশেষ বৃত্তিও চালু করা হয়েছে। তারপরেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংখ্যালঘুদের মধ্যে অসন্তোষের খোঁজ পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই সংশ্লিষ্ট দপ্তর নিজের হাতে রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। বদলে গোলাম রব্বানিকে উদ্যান পালন দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সুকান্তের জেলায় ৭০০টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিদ্যুতের সংযোগ
গোলাম রব্বানি উত্তর দিনাজপুর(North Dinajpur) জেলায় অন্যতম প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত গোলাম। ২০১১, ২০১৬ ও ২০২১ বিধাসভা নির্বাচনে পরপর তিনবার উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর(Goyalpokhar) থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন তিনি। কংগ্রেস দিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু হলেও ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের কিছুদিন আগে কংগ্রেস ছেড়ে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর তাঁর হাতে গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতের দায়িত্ব দেন মমতা। কিছুদিন আগে হয়ে যাওয়া মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘী বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের কিছুটা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল রব্বানিকে। সেই নির্বাচনে যে শাসক দলকে হারের মুখে দাঁড়াতে হতে পারে সেই সম্পর্কে কোনও তথ্যই রব্বানি দলকে জানাননি বা তাঁর কাছে সেই মর্মে কোনও খবর ছিল না। তাই অনেকেই মনে করছেন সাগরদিঘী কাণ্ডের জেরেই এদিন গদি গিয়েছে রব্বানির।