নিজস্ব প্রতিনিধি: সৌজন্যতার রাজনীতি নাকি উন্নয়নের লড়াই। ঠিক কী বলা যেতে পারে এই ঘটনাকে! বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের(Sukanta Majumdar) নিজ জেলা দক্ষিণ দিনাজপুর(Dakshin Dinajpur)। সেই জেলাতেই ৬৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রয়েছে ৭০০টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। এতদিন ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে(Anganwadi Center) কোনও বিদ্যুতের ব্যবস্থা ছিল না। কিন্তু এবার এই ছবি বদলাতে চলেছে দ্রুত। কেননা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নির্দেশে এই ৭০০টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিদ্যুতের সংযোগ(Electric Connection) দেওয়া হচ্ছে। বিদ্যুতের সংযোগ হলেই প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে লাগানো হবে এলইডি টিভি, পরিস্রুত পানীয় জলের ফিলটার, লাইট ও পাখা।
আরও পড়ুন শান্তিপ্রসাদকে ঘিরে আদালতে কড়া ভর্ৎসনার মুখে CBI
তীব্র গরমে গ্রীষ্মকালে শিশু থেকে প্রসূতিরা কষ্ট ভোগ করেন। অনেক সময় তাদেরকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। লাইট, পাখা না থাকায় তাদেরকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তার জেরেই মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন, জেলার যে সব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিদ্যুতের সংযোগ নেই সেখানে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হবে। সেই মতো নবান্ন থেকে নির্দেশ চলে আসে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের কাছে। সেই নির্দেশের জেরেই এখন শুরু হয়ে গিয়েছে জেলার প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে দ্রুত বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়ার কাজ। এতদিন মডেল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ছাড়া কোথাও বিদ্যুতের সংযোগ ছিল না। কিন্তু এবার জেলার সব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিদ্যুতের সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের নির্দেশ অনুযায়ী জেলার ৭০০টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করবে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েত প্রধানের নামে থাকবে বিদ্যুৎ সংযোগ। প্রতি মাসে বিদ্যুতের বিল দেবে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত।
আরও পড়ুন পঞ্চায়েত ভোটের আগে নয়া দায়িত্ব বাংলার BDO-দের
এই প্রসঙ্গে জেলা শিশু সংহতি বিকাশ কেন্দ্রের আধিকারিকদের দাবি, আজকের জামানায় বিদ্যুৎ না থাকলে সমস্যা তো হয়েই থাকে। যেসব অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা অফিসের কাজ করেন, কেন্দ্রে গিয়ে তাঁদেরকেও দুর্ভোগে পড়তে হয়। এখন থেকে শিশু ও প্রসূতিদের জন্য পাখার ব্যবস্থা করা হবে। সঙ্গে এলইডি টিভির মাধ্যমে শিশুদের ভিজুয়াল মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া হবে। বিদ্যুৎ সংযোগ হয়ে গেলেই পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হবে। আমাদের পুষ্টি বাগান করার নির্দেশ রয়েছে। এজন্য সাব মার্সিবল পাম্প দেওয়া হবে। পুষ্টিবাগানের সব্জি নিয়ে শিশু ও প্রসূতিদের জন্য পুষ্টিকর খাবার রান্না করা হবে। প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ফাঁকা জায়গাতে পুষ্টি বাগান করা হবে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীদের পুষ্টি বাগান তৈরি করে শিশু ও প্রসূতিদের পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে।