নিজস্ব প্রতিনিধি: বেআইনিভাবে কল্যাণী এইমসে নিয়োগ হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে এবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। প্রভাব খাটিয়ে ঘনিষ্ঠদের বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে। কলকাতা হাইকোর্টে মামলাকারীর অভিযোগ, বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার মেয়ে মৈত্রী দানার নিয়োগে হাত থাকতে পারে বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারের।
কল্যাণী এইমসে ‘বেআইনি’ নিয়োগ নিয়ে এবার আদালতের দ্বারস্থ হলেন এক মামলাকারী। আদালতে ওই মামলাকারী অভিযোগ করেন ‘কল্যাণী এইমসে মৈত্রী দানা ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে চাকরি পেয়েছেন। তাঁর মাসিক বেতন ৩০ হাজার টাকা। এমনকি বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার মেয়ে মৈত্রী কোনওরকম নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ না নিয়ে চাকরি পেয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন মামলাকারী। তাঁর চাকরি পাবার পিছনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারের হাত থাকতে পারে বলেও দাবি ওই মামলাকারীর। শুধু মৈত্রী দানা একা নন, অভিযোগ, কল্যাণী এইমসে কোনও নিয়ম না মেনে চাকরি পেয়েছেন রাজ্যের কয়েকজন বিজেপি নেতার ঘনিষ্ঠও। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য এই মামলায় ইতিমধ্যে তদন্ত করছে রাজ্য তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। তদন্তে নেমে বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রী শেখর দানার মেয়ে মৈত্রী দানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডি গোয়েন্দারা। সিআইডি সূত্রে দাবি, মৈত্রীর দেওয়া বক্তব্যের সঙ্গে তথ্যে অনেক ফারাক রয়েছে। নিয়ম বহির্ভূতভাবে কল্যাণীর এইমসে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিজেপির ৪ নেতা নিয়োগ করিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগের তালিকায় ৮ জনের নাম রয়েছে। এই মামলায় নাম জড়িয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী ও বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার এবং রাণাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকারের। উল্লেখ্য, কল্যাণী এইমস নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কল্যাণী থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছিল। এফআইআর করেছিলেন মুর্শিদাবাদের এক ব্যক্তি। এরপরেই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে সিআইডি।