নিজস্ব প্রতিনিধি: বছরের পর বছর দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির তালিকায় জ্বলজ্বল করেছে বাংলার যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম তা হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়(Jadabpur University)। চলতি বছরের NIRF Ranking-ও দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। প্রাদেশিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যেও যাদবপুরের স্থান প্রথমে। দেশের সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সার্বিক ভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান ত্রয়োদশে। এর সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে দশম স্থান, ফার্মাসি বিভাগে অষ্টাদশ স্থান এবং গবেষণা ক্ষেত্রে ১৯তম স্থানে যাদবপুর। বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগে যাদবপুরের আগে রয়েছে তিনটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু জাতীয় স্তরে এত সাফল্য সত্ত্বেও উৎকর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা Institute of Eminence’র তকমা দেওয়া হচ্ছে না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে। সম্প্রতি রাজ্যের উচ্চশিক্ষা সচিবকে এমনই চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। চিঠি পৌঁছেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও। কিন্তু কেন এই তকমা পেল না যাদবপুর? নেপথ্যে উঠে এসেছে বাজেট(Budget) সম্পর্কিত জটিলতা।
আরও পড়ুন আদিবাসীদের ডাকা বনধ ও রেল অবরোধ, প্রভাব একাধিক জেলায়
কী সেই জটিলতা? নিয়মানুযায়ী দেশের কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উৎকর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা Institute of Eminence’র তকমা পেলে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ১ হাজার কোটি টাকার সাহায্য দেওয়া হয়। তবে সেই টাকার ৭৫ শতাংশ অর্থাৎ ৭৫০ কোটি টাকা দেয় কেন্দ্র সরকার এবং বাকি ২৫ শতাংশ অর্থাৎ ২৫০ কোটি টাকা দেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু রাজ্য সরকারের যে ভাঁড়ে মা ভাবানী দশা তাতে করে শুধুমাত্র যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে ২৫০ কোটি টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। আর তাই কেন্দ্র সরকারও ৭৫০ কোটি টানা বিনিয়োগে রাজী নয়। আর এই টানাপোড়েনের জেরেই যাদবপুরের হাত থেকে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার শিরোপার তকমা হারিয়ে যাচ্ছে। এর আগেই এই একই রকম ঘটনা ঘটেছিল ২০১৮ সালেও। সেই বছর কেন্দ্র সরকার দেশের অন্য কয়েকটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যাদবপুরকেও উৎকর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে বেছে নিয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ই এই একই সমস্যা মাথাচাড়া দেয়। তার জেরে সেই বছরও শিরোপা পেতে পেতেও তা হাতছাড়া হয় যাদবপুরের।