নিজস্ব প্রতিনিধি: মঙ্গলবার দিন ভরা আদালতের (KOLKATA HIGH COURT) গুরুগম্ভীর এজলাসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (MAMATA BANERJEE) ধন্যবাদ জানালেন বিচারপতি (JUDGE) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (ABHIJIT GANGOPADHYAY)। ক্যান্সার আক্রান্ত সোমা দাসকে (SOMA DAS) চাকরি দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিচারক। সোমা দাস প্রথম থেকেই ছিলেন এসএসসি (SSC) আন্দোলনের কর্মী। এর আগে সোমাকে অন্য সরকারি চাকরির প্রস্তাব দিয়েছিলেন বিচারপতি। সোমা দাস অন্য চাকরির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। মঙ্গলবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে কিছু কথাও বলেন।
এদিন আদালতে বিচারপতি বলেন, তিনি একটি অনুরোধ করেছিলেন। তা কার্যকর করার জন্য তিনি খুশি হয়েছেন। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে ধন্যবাদ জানান তিনি। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের কাছে একগুচ্ছ প্রস্তাব রেখেছেন বিচারপতি। তার মধ্যে একটি প্রস্তাব ছিল, ক্যান্সার আক্রান্ত সোমা দাসকে যেন রাজ্য সরকার শিক্ষকতার চাকরিতে নিযুক্ত করে। এই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার যে ব্যবস্থা নিয়েছেন, তাতে তিনি খুশি বলে জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, নবান্ন থেকে জরুরি ভিত্তিতে সোমাকে শিক্ষকতার চাকরি দেওয়া হয়েছে। নবম- দশম শ্রেণির বাংলার শিক্ষিকা (TEACHER) সোমা দাস।
অন্যদিকে, ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেটে দুর্নীতি হয়েছে, এমনটাই দাবি বিজেপির। ওই বছরের প্রাইমারি টেট নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্ণীতি হয়েছে দাবি করে আদালতে মামলা করে বিজেপি। বিজেপির পক্ষে মামলা করেছিলেন বিজেপি নেতা তাপস ঘোষ। সেই মামলার শুনানি ছিল মঙ্গলবার। সেই শুনানিতেই রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল দাবি করেন, বিজেপির দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার কোনও গ্রহণযোগ্যতাই নেই। তিনি বলেন, নিয়োগের গোটা প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। যাদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে তাঁরা দীর্ঘদিন চাকরি করছেন। তাই এতদিন পর মামলা দায়ের করা যায় না, এমনই দাবি অ্যাডভোকেট জেনারেলের। তাঁর প্রশ্ন, দীর্ঘ ৮ বছর পর কী করে মামলা করা যেতে পারে? মামলাকারীদের অভিযোগ, নিয়োগ প্রক্রিয়াতে বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে। অভিযোগ, ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ধাপে ধাপে নিয়োগ হয়েছে। নিয়োগ হয়েছে ৬ দফায়। গত এপ্রিলে ৭৩৮ জনের নিয়োগ হয়েছে। কিন্তু এখনও গোটা প্রক্রিয়ার কোনও নিয়োগ তালিকাই প্রকাশ করা হয়নি। আরও অভিযোগ, কেউ কেউ পাশ না করেও চাকরি করছেন বলে। মামলাকারীদের দাবি, গত এপ্রিলেও চাকরি দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের তরফে বলা হয়, ওই নিয়োগ সম্পূর্ণ অন্য। রাজ্যের পক্ষ থেকে এই মামলা খারিজেরও আবেদন জানানো হয়।