নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনি উপেন বিশ্বাস। ছিলেন সিবিআই (CBI) আধিকারিক। তারপর হয়েছিলেন তৃণমূলের সদস্য। এরপর তৃণমূল ছাড়েন উপেন বিশ্বাস। তিনি ফেসবুক পোস্টে রঞ্জন নামে এক ব্যক্তিকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। উঠে এসেছিল প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গ। সেই উপেন বিশ্বাস বুধবার হাজিরা দিয়েছিলেন হাইকোর্টে। তিনি হাজিরা দিয়ে জানান, রঞ্জনই চন্দন মণ্ডল। বিচারপতি নির্দেশ দেন, তদন্তের জন্য সিবিআই সিট গঠন করার।
বুধবার উপেন বিশ্বাস হাজিরা দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (KOLKATA HIGH COURT) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে। সেখানে বিচারপতি বলেন, সিবিআই কতদূর কী করবেন, তা নিয়ে তিনি সন্দিহান। বলেন, এই তদন্ত যেন সারদার মত না হয়। এদিন আদালতে উপেন বিশ্বাস জানান, রঞ্জনই আসলে চন্দন মণ্ডল। তখন বিচারপতি বলেন, রঞ্জন বলে কেন থেমে গিয়েছিলেন? তাঁর প্রশ্ন, পুলিশে কেন অভিযোগ জানাননি উপেন বিশ্বাস? বিচারপতি আরও বলেন, আগে বললে আরও আগে চন্দনকে ধরা যেত বা তদন্ত শুরু করা যেত। আশঙ্কা প্রকাশ করে বিচারপতি বলেন, চন্দন দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারতেন।
এদিন বিচারপতি নির্দেশ দেন, তদন্তের জন্য সিবিআইয়ের সিট গঠন করার। তাঁর নির্দেশ, তদন্ত চলাকালীন কাওকে বদলি করা যাবে না। সিট অন্য কোনও মামলার তদন্ত করতেও পারবে না। উল্লেখ্য, এদিন প্রাইমারি নিয়ে ২ টি মামলার তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আদালতে জমা দেয় সিবিআই। এই তদন্ত হবে সম্পূর্ণ আদালতের নজরদারিতে। এদিন বিচারপতি বলেন, এভাবে তদন্ত হলে কিংপিন ধরা পড়া দূরের। ধরা পড়বে না পিনও। এরপরে উপেন বলেন, রঞ্জন মাত্র একটা ডট, মাঝের মাকড়সা। এর জাল অনেক বিস্তৃত। উপেন বিশ্বাস জয়েন্ট ডিরেক্টর দিয়ে তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন।