নিজস্ব প্রতিনিধি: না, কোনওভাবে শেষ রক্ষাটা করতে পারলেন না এসএসকেএমের চিকিৎকরা। যার ফলে অকালে চলে গেল একটা ফুটফুচটে শিশুর প্রাণ। বছর আটেকের ওই শিশুর নাম হল রীতেশ বাগদি। সে গত শুক্রবার খেলতে-খেলতে সে একটি কাজলের কৌটো গিলে ফেলে। তবে এসএসকেএমের ডাক্তাররা বিশেষ দক্ষতার মাধ্যমে সেটিকে বার করে দেন। কিন্তু ‘রেফার’ রোগের স্বীকার হল ওই শিশু। দীর্ঘক্ষণ মস্তিষ্কে অক্সিজেন না যাওয়ার জন্য মৃত্যু হয় তার। একের পর এক হাসপাতালে রেফার করার ফলেই এই পরিণতি হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
গত শুক্রবার সকালে ওই একরত্তি খেলতে গিয়ে একটি কাজলের কৌটো গিলে ফেলে। আর সেটা শিশুটির শ্বাসনালীতে আটকে যায়। সেই সঙ্গে শুরু হয় চরম শ্বাসকষ্ট। যার ফলে ধীরে-ধীরে ওই শিশুটির অবস্থা খারাপ হতে থাকে। যা দেখে আতঙ্কে রীতিমতো দিশেহারা হয়ে ওঠেন একরত্তির বাবা ও মা-সহ পরিবারের লোকেরা। দেরি না করে দ্রুত সকলে শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। বিধাননগরে বাড়ি হওয়ার দরুন পরিবারের লোকেরা প্রথমে তাকে নিয়ে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে যান। কিন্তু সেখান থেকে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
তারপর শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় এনআরএস হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে দিয়ে বিভিন্ন বিভাগে ঘুরতে-ঘুরতেই বহু সময় কেটে যায়।। তবে কাজের কাজ কিছুই হয় না। আর শিশুটির অবস্থা আরও খারাপের দিকে যেতে থাকে।এরপর মাস আটেকের বাচ্চাটিকে নিয়ে পরিবারের লোকেরা উপস্থিত হন এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসকদের দৌলতে শিশুটির গলা থেকে কাজল কৌটোটি বার করে দেন। যার ফলে বড়সড় দুশ্চিন্তার হাত থেকে বাঁচেন শিশুটির পরিবারের লোকরা। কিন্তু বিপদ তখনও ছিল, যার ফলে অকালে চলে গেল শিশুটির প্রাণ।