নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনি বাংলার মা(Mother of Bengal)। দীনদরিদ্র, ধনী, হিন্দু, মুসলিম, সকলের মা। তিনি আছেন বলেই ভাল; আছেন বাংলার জনতা। তিনি আছেন বলেই বাংলার মেয়েরা পাচ্ছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, রূপশ্রী, কন্যাশ্রী, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা। তিনি আছেন বলেই আছে মেধাশ্রী, ঐক্যশ্রী, সবুশ্রী। তাঁর সরকারই বাংলার পড়ুয়াদের হাতে বছর বছর তুলে দিচ্ছে সবুজসাথীর সাইকেল, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড। সেই বাংলার মাকে বাংলার আনাচেকানাচে দেখা যায় আমজনতার সঙ্গে মিশে যেতে। অকাতরে তিনি মিশে যান খুদেদের সঙ্গেও। ঈদের সকালেও তার ব্যতিক্রম ঘটল না। এদিন সকালে কলকাতার(Kolkata) রেড রোডে নামাজের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সেখান থেকে বার্তা দিয়ে তিনি চলে আসেন সোজা কলকাতার অন্যতম সংখ্যালঘু মহল এলাকা পার্ক সার্কাসে(Park Circus)। সেখানে তিনি মিশে যান খুদের সঙ্গে। বাংলার মাকে ঈদের সকালে নিজেদের মধ্যে পেয়ে খুশি হয় কচিকাঁচারাও। এটাই মা মমতা।
আরও পড়ুন ‘যারা দেশ ভাগ করতে চাইছে, তাদের পরিণতি ভাল হবে না’, ঈদে বার্তা অভিষেকের
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) যখনই জেলা সফরে যান দেখা যায় তিনি হুটহাট করে কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়েই চলে যান নানা এলাকায়। দীনদরিদ্র মানুষের বাড়িতে ঢুকে তাঁদের অভাব অভিযোগ শোনেন। উঠোনে বসে মুড়ি খেতে খেতে তাঁদের সঙ্গে গল্প করেন। শুনে নেন তাঁদের চাওয়া পাওয়ার নানান দাবি দাওয়া। আর তখন কচিকাঁচাদেরকেও কাছে টেনে নেন তিনি। কাউকে কোলে তুলে নেন, কাউকে গাল টিপে আদরও করেন। আর বিলি করেন সঙ্গে থাকা লজেন্স। ঈদের সকালেও কলকাতা দেখল সেই একই ছবি। এদিন পার্ক সার্কাসে গিয়ে কচিকাঁচাদের মাঝে মিশে যান বাংলার অগ্নিকন্যা। তাঁদের সঙ্গে হাঁটেন, সেলফি তোলেন, ছবি তোলেন। কারও গাল টিপে দেন, কাউকে কোলে তুলে নেন, আবার কারও সাথে হাঁটি হাঁটি পা পা করে বেউ বেউ করে নেন। উৎসবের সকালে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে এইরকম ভাবে কাছে পেয়ে খুশি কচিকাঁচাদের পাশাপাশি তাদের অভিভাবকেরা এবং পল্লীবাসীও। এইসব দেখে অনেকেই বলেও ফেলেছেন, ‘এটাই মমতা। এটাও ওর ক্রেজ’।