নিজস্ব প্রতিনিধি: করোনার কাঁটায় বিধ্বস্ত স্কুল জীবন। প্রায় কুড়ি মাস বন্ধ স্কুল। যদিও নভেম্বরের ১৬ তারিখ থেকে স্কুল খোলায় কিছুটা স্বস্তি মিললেও ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্তে ফের বন্ধ হয়েছে স্কুলের দরজা। যা নিয়ে একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। যার শুনানিতে স্কুল খোলা নিয়ে রাজ্যের অবস্থান জানতে চাইলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। স্কুল খোলা নিয়ে মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সওয়াল করেন, ছাত্রদের মনের গতিবিধি নির্ভর করছে এই স্কুল খোলার উপর। ইতিমধ্যে আত্মহত্যার ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে। এই অবস্থায় স্কুল খোলা অত্যন্ত প্রয়োজন। এভাবে কোভিডের অজুহাত দিয়ে স্কুল বন্ধ করে রাখা চলতে পারে না। দূরত্ববিধি বজায় রেখে স্কুল খোলা হোক। চিকিৎসকেরাও স্কুল খোলারই পক্ষে।
যার পাল্টা রাজ্যের আইনজীবী জানিয়েছেন, রাজ্য আগ্রহী স্কুল খোলা নিয়ে। অনলাইন আর সশরীরে পড়াশোনা আলাদা। কিন্তু রাজ্য যখন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়, অনেক ভাবনাচিন্তা করতে হয়। স্কুল খুলতে গেলে শিক্ষক, স্কুল কর্তৃপক্ষ, নন টিচিং স্টাফ, অভিভাবকের অনুমতি নিতে হবে। পুজোর ছুটির পরে স্কুল খুলতে গেলে উল্টে মামলা হয়েছে, কেন স্কুল খোলা হচ্ছে তা নিয়ে। ছোটদের টিকাকরণ শুরু হলেও ১৫-১৮ বছর বয়সী এমন ৪৫ লক্ষের উপর ছাত্র ছাত্রী রয়েছে যাদের টিকা দিতে হবে। এখনও অবধি ৩৩ লক্ষের কিছু বেশি টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। জেলাগুলি এক্ষেত্রে অনেকটাই পিছনে।
এরপরেই সওয়াল জবাবের মাঝে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, এক সপ্তাহের ভিতরেই আদালতে হলফনামা দিয়ে স্কুল খোলার বিষয়ে জানানো হবে। যার ভিত্তিতে রাজ্যকে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্কুল খোলার বিষয়ে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।