নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি বছরের জুন ও জুলাই মাসে দুটি মহাজাগতিক ঘটনার(Cosmic Events) সাক্ষ্য থাকতে চলেছেন শহর কলকাতার(Kolkata) মানুষ। দুটি ঘটনাই অবশ্য এক। Zero Shadow, অর্থাৎ ছায়াহীনতা। সূর্যের অবস্থানগত কারণে আগামী জুন মাসের ৫ তারিখ ও জুলাই মাসের ৮ তারিখ এই ঘটনা ঘটতে চলেছে কলকাতার বুকে। ৫ জুন বেলা ১১টা ৩৪ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে কিছুক্ষণের জন্য এবং ৮ জুলাই বেলা ১১টা ৪১ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে দ্বিতীয় বারের জন্য ছায়াশূন্য হতে চলেছে শহর কলকাতা। তবে এই ঘটনা একদমই বিরল নয়। সূর্যের অবস্থানগত কারণে প্রতি বছর মাত্র ২টি দিন কয়েক মিনিটের জন্য ছায়া হারিয়ে যায়। এবছরে সেইও জোড়া দিন হল ৫ জুন ও ৮ জুলাই।
আরও পড়ুন বাংলার মিড ডে মিলের Dinning Hall ‘মডেল’ ভারতে
কয়েক মিনিটের জন্য বিস্তীর্ণ এলাকা হঠাৎই ছায়াশূন্য হয়ে যাওয়ার বিষয়টা আপাত ভাবে খুব অবাক করে দেওয়ার হলেও জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের(Astronomers) কাছে ব্যাপারটি খুবই স্বাভাবিক। কেননা তাঁদের অভিমত, পৃথিবী নিজের অক্ষরেখা বরাবর সাড়ে ২৩ ডিগ্রিতে হেলে থেকে সূর্যের চারদিকে প্রদক্ষিণ করছে। সেই সঙ্গে সূর্য বিষুবরেখা থেকে উত্তরে কর্কটক্রান্তি এবং দক্ষিণে মকরক্রান্তি রেখার মধ্যে যাতায়াত করে। এই পথে যে যে জায়গার ওপর সূর্যের কিরণ লম্বালম্বি পড়ে, সেই সব জায়গা কিছুক্ষণের জন্য ছায়াশূন্য হয়ে যায়। সূর্য পুরোপুরি মাথার ওপর এলে তবেই বস্তুর ছায়া অদৃশ্য হয়। আর সূর্য মাথার ওপরে থাকে মাত্র কয়েক মুহূর্তের জন্য। তার পরেই সূর্য সরতে শুরু করে। তবে পরের কয়েক মিনিট ছায়ার দৈর্ঘ্য এতটাই কম থাকে যে, কার্যত ছায়াশূন্য বলেই মনে হয়।
আরও পড়ুন ১,১১৩ কোটি টাকার দেনায় ডুবে কলকাতা পুরনিগম
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের আরও দাবি, কলকাতা ছাড়াও ভুবনেশ্বর, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, কন্যাকুমারী, মুম্বই, পুনে, পানাজির মতো যে সব জায়গা বিষুবরেখা থেকে কর্কটক্রান্তি রেখার মধ্যে পড়ে, সেই জায়গাগুলোর বাসিন্দারাই এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হবেন। অন্য দিকে, দিল্লি বা চণ্ডীগড়ের মতো যে সব শহর কর্কটক্রান্তি রেখা থেকে অনেকটাই উত্তরে, সেই সব জায়গা এমন ভাবে ছায়াশূন্য হবে না। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের পরামর্শ, ওই দিন নির্দিষ্ট সময়ের অন্তত আধ ঘণ্টা আগে থেকে পর্যবেক্ষণ করলে ক্রমশ ছায়াশূন্য হয়ে যাওয়ার ঘটনাটি ভালো ভাবে উপভোগ করা যাবে।