নিজস্ব প্রতিনিধি: মোদি সরকারের মস্তিস্কপ্রসূত নির্বাচনী বন্ডকে বৃহস্পতিবারই অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ। অবিলম্বে নির্বাচনী বন্ড বিক্রি বন্ধ করারও নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। আর ওই রায়ে জোর ধাক্কা খেয়েছে নির্বাচনী বন্ড চালুর পরে কোষাগার স্ফীত হওয়া বিজেপি। শীর্ষ আদালতের রায়কে উপেক্ষা করে নির্বাচনী বন্ড চালু রাখার বিষয়ে অধ্যাদেশ জারি করার পরিকল্পনাও নিয়েছে মোদি সরকার। নির্বাচনী বন্ড অসাংবিধানিক ঘোষণা নিয়ে যখন উত্তপ্ত জাতীয় রাজনীতি, তখনই বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে বেসরকারি সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস।
শুক্রবার নির্বাচন নজরদারি সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সর্বাধিক নির্বাচনী বন্ড বিক্রি হয়েছে কলকাতায়। কল্লোলিনী তিলোত্তমায় গত ৬ বছরে ৭,৮৩৪ নির্বাচনী বন্ড বিক্রি হয়েছে। এর পরেই রয়েছে মুম্বই। দেশের বাণিজ্যিক রাজধানীতে বিক্রি হয়েছে ৫,৪২৬টি বন্ড। তৃতীয়স্থানে রয়েছে হায়দরাবাদ। নিজামের শহরে বিক্রি হয়েছে ৪,৮১২টি বন্ড। দেশের রাজধানী দিল্লিতে ৩,৬৬২টি, চেন্নাইয়ে ১,৮৬৯টি এবং গান্ধিনগরে ১,১৮৯টি বন্ড বিক্রি হয়েছে।
দেশের তথ্যপ্রযুক্তির রাজধানী হিসাবে পরিচিত বেঙ্গালুরুতে বিক্রি হয়েছে ৮২৬টি বন্ড। ভুবনেশ্বরে ৮৫৭টি, জয়পুরে ৩০৯টি, গুয়াহাটিতে ১৬২টি বন্ড বিক্রি হয়েছে। সবচেয়ে কম বন্ড বিক্রি হয়েছে পটনায়। নীতীশ কুমারের রাজ্যের রাজধানীতে বিক্রি হয়েছে মাত্র ৮টি বন্ড।
২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি প্রয়াত অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির উদ্যোগেই চালু হয়েছিল বিতর্কিত নির্বাচনী বন্ড। গত ৬ বছরে প্রায় ১৬ কোটি টাকার বন্ড বিক্রি হয়েছে। আর তার মধ্যে বন্ড বিক্রির ৫৫ শতাংশ টাকাই জমা পড়েছে শাসকদল বিজেপির কোষাগারে। বিরোধীদের অভিযোগ, দেশের বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রির টোপ দিয়ে শিল্পপতিদের কাছ থেকে টাকা তুলে কোষাগার স্ফীত করেছে বিজেপি।