নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari) চলতি ডিসেম্বর মাসে ৩টি দিনকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছিলেন সম্প্রতি। যদিও সেই সময়ে তিনি এটা খোলসা করেননি যে ওই ৩টি দিনে রাজ্য রাজনীতিতে ঠিক কী হতে চলেছে। এর পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee) আবার জানিয়ে দিয়েছেন চলতি মাসেই তিনি দলের দরজা ৫ মিনিটের জন্য খুলতে চলেছেন। সঙ্গে এটাও জানিয়েছেন, ওই ৫ সেকেন্ডে কিছু দলবদলু নেতা তৃণমূলে ফিরতে বা যোগ দিতে চলেছেন যারা দলের সৈনিক হিসাবেই কাজ করবেন। নেতা-কর্মীদের ওপর ছড়ি তাঁরা ঘোরাবেন না। এই সব কিছু নিয়েই রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা বাড়ছিল। সেই জল্পনাকে শনিবার সাত সকালে আরও একটু উস্কে দিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)। এদিন তিনি টুইট(Tweet) করে আগামী নতুন ইংরেজি বছরের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ২ জানুয়ারি ২০২৩, কে বেশ গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসাবে তুলে ধরেছেন।
আরও পড়ুন ফেব্রুয়ারি নয়, মে মাসেই হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন
ঠিক কী টুইট করেছেন কুণাল? এদিন সকালে তিনি টুইট করে লেখেন, ‘একজন শিক্ষনবিশ জ্যোতিষীর দেওয়া কিছু তারিখ দেখার পর এখন আমিও একটা তারিখ ও সময় দিচ্ছি। এটি আমি একজন বিশিষ্ট জ্যোতিষীর কাছ থেকে পেয়েছি। তিনি বলেছেন, বিয়ের তারিখ ছাড়া ডিসেম্বরে কোনও তারিখ নেই, যাকে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। কিন্তু ২রা জানুয়ারী হল গুরুত্বপূর্ণ। ০২/০১/২৩ এর দুপুর ১২টা।’ স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে সেদিন ঠি কী হতে চলেছে? অনেকেরই ধারনা অভিষেক যে ৫ সেকেন্ডের জন্য দলের দরজা খোলার বার্তা দিয়েছেন অধিকারীদের শহর কাঁথির বুকে দাঁড়িয়ে সেই দরজাই কুণালের তুলে ধরে দিন ও সময়ে খোলা হবে। সেদিনই হয়তো কিছু দলবদলুকে তৃণমূলে ফিরে আসতে বা যোগ দিতে দেখা যাবে। অনুমান যাই হোক না কেন, এটা এখন দিনের আলোর থেকেও বেশি পরিষ্কার যে বিজেপি তথা কেন্দ্র সরকার কিংবা বঙ্গ বিজেপির নেতারা যতই তৃণমূলের বিরুদ্ধে হম্বিতম্বি করুন না কেন আদতে তাঁরা নিজেদের দলের ভাঙন ঠেকাতেই চূড়ান্ত ভাবে ব্যর্থ। নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে এখন নিত্যদিন তাঁরা হরেক কিসিমের জল্পনা ছড়াচ্ছেন রাজ্য রাজনীতিতে। তবে তৃণমূল জল্পনা না ছড়িয়ে কাজ করে দেখাচ্ছে।