নিজস্ব প্রতিনিধি: তৃতীয় লিঙ্গের স্বাস্থ্যবীমা থেকে স্কুলে স্কুলে স্যানিট্যারি প্যাড ভেন্ডিং মেশিন বসানো, আসন্ন কলকাতা পুরভোটে বামফ্রন্টের ইস্তেহারে রয়েছে বহু চমক। রাজনৈতিক মহলের দাবি, মূলত তরুণ প্রজন্মের ভোটারদের কাছে টানতে একদিকে যেমন প্রার্থীতালিকায় খেয়াল রাখা হয়েছে, তেমনই নির্বাচনি ইস্তেহারও তৈরি হয়েছে নবীন প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে। ছিমছাম কার্ডের আকারে আকর্ষণীয়ভাবে নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেছে বামফ্রন্ট।
যাতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সেগুলি শেয়ার করে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। একেকটি কার্ডে একেকটি প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেছে বাম নেতৃত্ব। কর্পোরেট ধাঁচে কার্ডগুলিতে আবার একটি করে আকর্ষণীয় ক্যাপশনও দেওয়া হয়েছে। কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতির ক্যাপশন করা হয়েছে ‘কাজের কলকাতা’, আবার মহিলাদের জন্য প্রকল্পের খতিয়ান দিতে ক্যাপশন ‘কাদম্বিনীর কলকাতা’। বাদ যায়নি তৃতীয়লিঙ্গের মানুষেরাও। তাঁদের দেওয়া প্রতিশ্রুতির জন্য ক্যাপশন ‘রামধনুর অধিকার’।
বামেদের নির্বাচনী ইস্তেহারে মোটামুটি সমস্ত দিকই রয়েছে। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে এর বেশিরভাগই বর্তমান তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড ইতিমধ্যেই চালু করেছে। এমনকি কয়েকটি সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। যেমন সবুজ সিটি প্রকল্প এনে সিএনজি বা ইলেকট্রিক বাস চালু করার কথা বলা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় গ্রীন জোন তৈরির কথাও বলা হয়েছে। আবার নতুন রাস্তার সম্প্রসারণ বা পুরোনো রাস্তা মেরামতি। যা তৃণমূল সরকার ইতিমধ্যেই করেছে।
বামফ্রন্টের ইস্তেহারে বলা হয়েছে কলকাতা পুরসভায় ক্ষমতায় এলে ২৮ হাজারের বেশি শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে। কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন নতুন প্রকল্প আনা হবে। মহিলাদের জন্য বামেদের প্রতিশ্রুতি, প্রতিটি এলাকায় শৌচালয় নির্মান, প্রতিটি স্কুলের শৌচালয়ে স্যানিট্যারি প্যাড ভেন্ডিং মেশিন বসানো হবে। গার্হস্থ হিংসা প্রতিরোধে প্রতিটি ওয়ার্ডেই নেবারহুট কমিটি গড়া হবে। এছাড়া স্বচ্ছতা আনতে মিউনিসিপ্যাল ভিজিলেন্স অথরিটি তৈরি করা হবে। আর টেন্ডার ও প্রকল্পের খরচ ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে। এখন দেখার এই চমকের ইস্তেহারে ভোটবাক্সে কতটা লাভ করতে পারে বাম প্রার্থীরা।