নিজস্ব প্রতিনিধি: গত শুক্রবার রাতে এসএসকেএম বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (MADAN MITRA)। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানান, প্রয়োজনে টিউশনি করে পেট চালাবেন।
শনিবার মদনের নাম না করে সাংবাদিক বৈঠক করেন এসএসকেএম ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের হেনস্তা করা হয়েছে। গালিগালাজ করা হয়েছে। বলেন, অনভিপ্রেত এই বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কথা হয়েছে। পিজি ডিরেক্টর বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে সমগ্র বিষয়টি জানাতে তিনি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা বলেছেন।
এরপরেই মুখ খোলেন মদন। সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, প্রয়োজনে পদ ছেড়ে দেবেন। বলেন, ওই তো একটা বিধায়ক পদ! ওই তো মাইনে! তাঁর দাবি, পদ ছেড়ে টিউশনি করে পেট চালাবেন। রাজনীতি ছাড়তেও দ্বিধা নেই তাঁর বলেও দাবি করেন। বলেন, যা পড়াশোনা আছে তাতে টিউশনি করলে বিশ-তিরিশ হাজার টাকা তিনি পাবেনই। তাঁর প্রশ্ন, ‘ওঁ আমাকে কি দিয়েছেন?’ বলেন, ‘আমি সোনালি গুহ, শুভেন্দু অধিকারী, দীনেশ ত্রিবেদী বা মুকুল রায় নই’।
এদিন তিনি বলেন, তাঁর পরিবারের কারও প্রতি যেন প্রতিহিংসামূলক ব্যবহার না করা হয়। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, পদত্যাগের পরে ভোট করানো হোক। বলেন, তৃণমূল মদনকে জেতায়নি। সবুজ শিবির জোড়াফুল প্রতীক দিয়েছে কিন্তু জিতিয়েছে কামারহাটির জনতা।
এদিন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেন, তিনি মদনের সঙ্গে কথা বলবেন। বলেন, হাসপাতালে বিশৃঙ্খলা বা গাফিলতি ঢাকতে কেউ মদন দা’র ঘাড়ে দোষ দেবেন- কোনওটাই কাম্য নয়।
মদন এদিন বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন স্বাস্থ্যকর্মীদের হেনস্থা করা যাবে না। সেই জন্য অভিনন্দন। তবে যিনি আহত হয়েছিলেন তিনিও স্বাস্থ্যকর্মী। মদনের দাবি, কর্তব্যে অবহেলার জন্য কর্তব্যরতদের সাসপেন্ড করতে হবে। তাঁর সাফ বক্তব্য, ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভর্তি নিতেই হবে। হাসপাতাল বা দলে প্রাইভেট রাজ চলবে না। এরপরেই বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি তিনি এবং তাঁর পরিবার কৃতজ্ঞ।