নিজস্ব প্রতিনিধি: ধর্ম যার যার উৎসব সবার। সেই কারণেই বাংলার অগ্নিকন্যা হাজির থাকেন বাংলার সব উৎসব প্রাঙ্গণেই। তা সে দুর্গাপুজো হোক কী ইদ, ছট পুজো হোক কী ক্রিস্টমাস ইভ(Christmas Eve)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Mamata Banerjee) ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না বাংলার উৎসবের বৃত্ত। রবিবার রাত ১০টা নাগাদ তিনি হাজির থাকলেন ব্রেবোর্ন রোডের পর্তুগিজ চার্চে(Cathedral of the Most Holy Rosary)। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী যোগ দেন বিশেষ প্রার্থনায়। প্রার্থনার পরে মুখ্যমন্ত্রী ফাদারের কাছ থেকে যেমন আশির্বাদ নেন তেমনি চার্চের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে একটি উপহারও তুলে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, গত বছর তাঁর সঙ্গে পর্তুগীজ চার্জের প্রার্থনায় যোগ দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মেয়ে আজানিয়াও। এবারে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন না অভিষেক। সেই অনুষ্ঠানের পরে বাড়ি ফিরে রাতেই রাজ্যবাসীকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim) যোগ দেন St. Ignatius Church’র মধ্যরাতের উপাসনায়।
প্রতি বছরই বড়দিন উপলক্ষে গির্জায় যান মুখ্যমন্ত্রী। আগে তাঁকে সেন্ট পলস ক্যাথিড্রালে মাঝরাতের ক্যারলে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে তিনি বড়বাজারে ব্রেবোর্ন রোডের পর্তুগিজ গির্জা— ক্যাথিড্রাল অফ দ্য মোস্ট হোলি রোজারিতে যাচ্ছেন। এবারেও তার ব্যতিক্রম হল না। ক্রিসমাসে আলোর রোশনাইয়ে ভেসেই তিনি বড়বাজারের বুকে এই চার্চে উপস্থিত হন। সুর মেলান গীর্জার ক্যারোলেও। রাত ১১টা নাগাদ তিনি সেখান থেকে বেড়িয়ে যান। মুখ্যমন্ত্রী মধ্যরাতের উপাসনায় হাজিরা থাকা ঘিরে খুশির হাওয়া বাংলার খ্রীষ্টসমাজে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে মমতা বড়দিনের সময় যেভাবে কলকাতার পার্কস্ট্রিট থেকে রবীন্দ্রসদন চত্বর আলোয় সাজিয়ে তোলেন এবং রাজ্য সরকারের তরফে যেমন এই সময় বিবিধ উৎসবের আয়োজন করা হয় তা দেখে খুশি বাংলা তথা দেশের খ্রীষ্টসমাজ। বাম জমানায় যেমন কলকাতাকে এভাবে বড়দিনের সময় উৎসবের রূপ দেওয়া হতো না তেমনি দেশের কোনও রাজ্যেই বড়দিন নিয়ে কার্যত কিছুই করা হয় না। সেখানে ব্যতিক্রমী উজ্জ্বল উপস্থিতি বাংলার।