নিজস্ব প্রতিনিধি: রাত পোহালেই ভোট বিধাননগরে। সেই ভোটে বিরোধীরা কেন্দ্রীয় বাহিনী নামিয়ে ভোটগ্রহণ করা হোক এমনটাই চেয়েছিল। এমনকি তা নিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টেও। কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশন পুলিশ দিয়েই সেখানে ভোট করানোর পক্ষপাতী। কলকাতা হাইকোর্টে তা তাঁরা জানিয়েও দিয়েছেন। সেই কারনেই আগামিকাল বিধাননগরের ভোট কার্যত সেখানকার পুলিশ কমিশনারেটের কাছে অগ্নিপরীক্ষা হয়ে উঠতে চলেছে। এই অবস্থায় বিরোধীরা যাতে বিধাননগরের ভোট নিয়ে শাসক দলের দিকে কোনও আঙুল তুললে না পারে তার জন্য এদিন সব্যসাচী দত্তকে ফোন করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের দিন দলীয় ও নিজ অনুগামীদের সামলে রাখার বার্তাই দিয়েছেন দলনেত্রী। দলের কর্মীদের কোনও আচরণ বা কাজের জন্য যাতে কোনও সমস্যার উদ্রেক না হয় সেই বিষয়টি নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা।
একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, এদিন নবান্নে রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী জরুরী ভিত্তিতে তলব করেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের সিপি সুপ্রতীম সরকারকে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, আগামিকালের ভোটে পুলিশ যাতে কড়া হাতে আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি দেখে সেই জন্যই জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করতেই এদিন তলব করা হয় বিধাননগরের সিপিকে। উল্লেখ্য কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে যে তাঁরা কেন্দ্রীয় বাহিনী নামিয়ে ভোট করাতে চাইছেন না। পুলিশের ওপরেই রয়েছে তাঁদের আস্থা। তার জেরে আদালতও জানিয়ে দিয়েছে, যদি পুলিশ দিয়ে ভোট করানোর পরেও কোনও ঝামেলা হয় তাহলে ব্যক্তিগত ভাবে তার জন্য দায়ী থাকবেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। এই অবস্থায় এদিন কমিশনের সচিব জানিয়েছেন, নির্বিঘ্নে ভোট করানোর জন্য বিধাননগরে ৩ হাজার পুলিশ নামানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে থাকছে, কমান্ডো, ইএফআর, এসটিএফ। এদিন থেকেই স্পর্শকাতর এলাকা ঘুরে দেখছেন সিআইডি ও আইবি’র আধিকারিকেরাও।