নিজস্ব প্রতিনিধি: নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন নীতীশ কুমার(Nitish Kumar)। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর সেটাই ছিল প্রথম রাজনৈতিক বৈঠক। সেই বৈঠকেই মমতা নীতীশকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন পাটনাতে বিজেপি(BJP) বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বৈঠক ডাকতে। সেই প্রস্তাবে রাজীও হন নীতীশ। সেই মতন আগামী ১২ জুন পাটনায়(Patna) বসতে চলেছে ২৪’র মহারণের আগে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির জোট বৈঠক। সেই বৈঠকে যোগ দিতে ১১ জুন পাটনা চলে যাচ্ছেন মমতা। অর্থাৎ বৈঠকের ১ দিন আগেই পাটনা যাচ্ছেন মমতা।
আরও পড়ুন শাহী দরবারে মমতার পুলিশ, নেপথ্যে AK-103 সিরিজের Rifle
প্রথমে ঠিক ছিল প্রধানমন্ত্রীর(Narendra Modi) ডাকা নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিয়ে নীতীশ কুমারের সঙ্গে দেখা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি থেকে সোজা পটনায় আসবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার দিল্লির সেই বৈঠক হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মমতা-সহ দেশের ১১টি রাজ্যের ১১জন অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী সেই বৈঠকে যোগ দেননি। মমতা বা নীতীশ কেউই সেই বৈঠকে যোগ দেবেন না বলে তাঁরাও দিল্লি যাননি। তাই তাঁদের দেখাও হয়নি। কিন্তুদিল্লিতে না গেলেও মমতার পটনা যাওয়ার পরিকল্পনা বদলাচ্ছে না। তৃণমূল সূত্রে খবর, আগামী ১২ জুন বিজেপি বিরোধী দলগুলির বৈঠক বসছে বিহারের রাজধানী পাটনার বুকে। সেই বৈঠকে যোগ দিতে ১১ তারিখেই কলকাতা থেকে পটনার উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন মমতা। কার্যত নীতীশের তত্ত্বাবধানেই সেই বিরোধী জোটের বৈঠক বসতে চলেছে। নীতীশ ছাড়াও ওই বৈঠকের আয়োজকের ভূমিকায় থাকছেন আরজেডি নেতা তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী প্রকাশ যাদবও।
আরও পড়ুন মোদির ৯ বছরের পূর্তি, ১ মাসে বাংলায় ২৯৪ সভা বিজেপির
পটনায় বিজেপি বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলের এই বৈঠকে থাকার কথা। এ ছাড়া থাকার কথা, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন, কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জম্মু এবং কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লা এবং ফারুক আবদুল্লা, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও, এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারেরও। তবে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী এবং কেরলের মুখ্যমন্ত্রী সিপিএমের পিনারাই বিজয়ন থাকছেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও শনিবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর নীতি আয়োগের বৈঠকে যাননি পিনারাই বিজয়ন এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের অশোক গহলৌতও। তবে অস্বীকার করার উপায় নেই এই বৈঠকের মধ্যমণি হতে চলেছেন মমতাই। কেননা এখনই রাজ্যসভা এবং লোকসভা মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূলের হাতে রয়েছে ৩৭ জন সাংসদ। আগামী দিনে সেই সংখ্যাও বাড়তে চলেছে। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর দরও বাড়ছে জাতীয় রাজনীতিতে।
