নিজস্ব প্রতিনিধি: রবি সকালে মুম্বইয়ের ব্রিচক্যান্ডি হাসপাতালে সকাল ৮টা ১২ মিনিটে ৯২ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন ভারতের সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। তাঁর মৃত্যুতে কার্যত জীবন্ত এক কিংবদন্তী অধ্যায়ের অবসান ঘটল। একই সঙ্গে দেশ হারালো জীবন্ত সরস্বতীকে। তাঁর মৃত্যুতে এদিন শোক জ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী ৩টি টুইট করেছেন। তাতে তিনি লিখেছেন, ভারতের আইকন ভারতরত্ন লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তাঁকে আমি অন্তরের গভীর থেকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তাঁর পরিবার এবং কোটি কোটি গুণমুগ্ধ ভক্তদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। ভারতের নাইটিঙ্গেল শুধু ভারতে নয় গোটা বিশ্বে তাঁর প্রতুভার সাক্ষর রেখে গিয়েছেন। বিশ্বজুড়ে তাঁর গুণমুগ্ধ ভক্তদের মতো আমিও তাঁর কন্ঠস্বরে মুগ্ধ ছিলাম। আমি কৃতজ্ঞবোধ করছি তাঁর প্রতি যে তিনি বাংলা এবং প্রাচ্যের শিল্পীদের তাঁর হৃদয়ে ধরে রেখেছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও জানিয়েছেন, আগামিকাল রাজ্যে অর্ধদিবস ছুটি থাকবে। লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই এই সিদ্ধান্ত। অর্ধদিবস কাজের পরে বন্ধ থাকবে রাজ্যের সমস্ত সরকারি অফিস, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, আদালতও। লতা মঙ্গেশকর বাংলায় ১৮৫টি গান গেয়েছেন। বার বার এসেছেন কলকাতায় গানের রেকর্ড করতে। বাংলার বিখ্যাত সব সুরকারদের সঙ্গে তাঁর ছিল আত্মীক সম্পর্ক। শচীন্দেব বর্মণ, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মান্না দে’র সঙ্গে তাঁর ছিল মধুর সম্পর্ক। বাংলার বহু বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী তাঁর সান্নিধ্য পেয়েছেন। সেই তালিকায় কেন নেই! হৈমন্তী শুক্লা, পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, রশিদ খান, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, আরতি মুখোপাধ্যায়, কুমার শানু, কৌশিকী চক্রবর্তী প্রমুখ। বাংলা সিনেমা জগতের অনেকের সঙ্গেই তাঁর পরিচিতি ছিল। নিয়মিত না হলেও তাঁদের খোঁজখবর রাখতেন সুরসম্রাজ্ঞী। ২০১১ সালে রাজ্যে বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় ব্যক্তিগত ভাবে তাঁকে শুভেচ্ছাসহ উপহার পাঠিয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। বাংলা তাঁর প্রতি চিতকৃতজ্ঞ থাকবে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, সোমবার বেলা ২টোর পর সরকারি দফতর ছুটি। আর রাজ্যে ১৫ দিন ধরে বাজবে লতাজির গান।