নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলায় আবারও ফিরল ৩০ মে। ৯ বছর আগে এই দিনেই বাংলা হারিয়েছিল ঋতুপর্ণ ঘোষকে(Rituparna Ghosh)। এদিন তাঁর নবম মৃত্যুবার্ষিকী। এই দিনেই তাঁকে শ্রদ্ধা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন, পরিবহণ এবং আবাসন দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও(Firhad Hakim)। শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) তরফেও। শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন টলিউডের অভিনেতা অভিনেত্রী, পরিচালক থেকে কলাকুশলীরাও। আসলে ঋতু শূন্যস্থান আজও বাংলার বুকে পূর্ণ হয়নি। অসামান্য প্রতিভার অধিকারী ঋতু একাধারে ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা, ভালো লেখক এবং অবশ্যই রামধনু পরিবারের সেই মানুষ যে নিজেই জলজ্যান্ত বিপ্লব হয়ে উঠেছিলেন। সমাজের বক্রচাউনি, বক্রোক্তিকে বিন্দুমাত্রা পাত্তা না দিয়ে নিজের অস্তিত্বকে প্রকাশ্যেই জাহির করেছিলেন তিনি।
ঋতুপর্ণ ঘোষের জীবন থেকে গিয়েছে ২০১৩ সালের ৩০ মে। কিন্তু বাংলার জনজীবনে ঋতুর উপস্থিতি আজও চূড়ান্ত ভাবে বিদ্যমান। তা সে সিনেমা হোক বা তাঁর লেখালেখি। ঋতুহীন বঙ্গে ঋতু না থেকেও প্রচন্ড রকম ভাবেই রয়ে গিয়েছেন। ঋতু দেখে যাননি সুপ্রিম কোর্ট সমকামিতাকে অপরাধ মুক্ত করে দিয়েছে। ঋতু দেখে যাননি বাংলার বুকে হিন্দি সিনেমার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মাল্টিপ্লেক্সে হাউস ফুল তকমা পাচ্ছে। ঋতু দেখে যাননি টলি হোক কী বলির তাবড় তাবড় অভিনেতা বা অভিনেত্রীরা এখন সমকামী চরিত্র বা তাতে বোল্ড অভিনয় করতে বিন্দুমাত্র পিছুপা হচ্ছেন না। ঋতু দেখে যাননি তাঁর লেখা সম্পাদকীয় বইমেলার বেস্টসেলার হয়ে উঠছে। কিন্তু বাংলা চলচ্চিত্র জগতেই শুধু নয়, দেশের চলচ্চিত্র জগতেও আর কেউ এলেন না যে একটা ‘হিরের আংটি’ বা ‘চোখের বালি’ কিংবা ‘উনিশে এপ্রিল’ বা ‘উৎসব’ দিতে পারেন। নিবেদনপক্ষে আরও একটা ‘দহন’ বা ‘শুভ মহরৎ’ কিংবা ‘অন্দরমহল’ তৈরি করতে পারে। ‘রেনকোট’ হোক কী ‘মেমোরিজ ইন মার্চ’ আজও কেউ করে দেখাতে পারলেন না। ‘আরও একটি প্রেমের গল্প’ এখন তাই বাংলার অনেক বাড়িতেই বাস্তব হয়ে উঠছে। ঋতু দেখে গেলেন না বাংলা তথা ভারতের অনেক ছেলেই তার জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে নিচ্ছে, বিয়ে করছে এখন পুরুষকে।