নিজস্ব প্রতিনিধি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) স্বপ্নের প্রকল্প কালিঘাটের(Kalighat) Skywalk। কোভিড ও লকডাউনের বহু আগেই সেই প্রকল্প নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কিন্তু বার বার প্রকল্প শেষের সময়সীমা অতিক্রম হয়ে গেলেও এখনও সেই প্রকল্প পুরোপুরি গড়ে ওঠেনি। এই নিয়ে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যেই বা প্রশাসনিক সভায় ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। কিন্তু এবারে রাজ্য সরকার সেই Skywalk’র নির্মাণের Timeline বেঁধে দিল। কেননা মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন ২০২৪’ই আমজনতার জন্য খুলে যাক কালিঘাটের Skywalk। এবার তাই রাজ্য সরকারের তরফে কলকাতা পুরনিগম(KMC) এবং এই Skywalk নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা, উভয়কেই Timeline বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয়। সেখানেই ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন প্রাণিসম্পদ, মৎস্য ও রেশম শিল্পেও বিমা আনছে মমতার সরকার
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যসচিবের বৈঠকের পর দফায় দফায় কালিঘাট Skywalk’র নির্মাণস্থল পরিদর্শন করেছেন পুরনিগমের আধিকারিকরা। এই Skywalk তৈরিকে কেন্দ্র করে প্রথম দিন থেকেই নানা জটিলতা তৈরি হয়েছিল। প্রথমে স্থানীয় হকার এবং ব্যবসায়ীদের সরাতে বেগ পেতে হয় পুর প্রশাসনকে। পরে সেই সমস্যা মিটলেও ওই এলাকায় কালী টেম্পল রোডের ভূগর্ভস্থ নানা পাইপলাইন সরানোর ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা যায়। মাটির তলা দিয়ে গিয়েছে পানীয় জল, নিকাশি এবং অন্যান্য নানা পরিষেবার লাইন। সেগুলি স্থানান্তর করতেও যথেষ্ট সময় লাগে। বার বার সময় বাড়িয়েও কাজ শেষ করা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি পয়লা বৈশাখে কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে নিজের অসন্তোষ ব্যক্ত করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় তিনি মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরন্নোয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে(Firhad Hakim) উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। এমনকী নির্মাণকারী সংস্থার বদল চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন শিক্ষাক্ষেত্রে ফের রাজ্য-রাজভবন সংঘাত, ৬ উপাচার্যকে শোকজ চিঠি রাজ্যপালের
এতেই ফের নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। কলকাতা পুরনিগম, রাজ্যের পূর্তদফতর, কলকাতা পুলিশ এবং নির্মাণকারী সংস্থাকে নিয়ে গত সপ্তাহে বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেই প্রতি ধাপে কাজের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। মাটির উপরিভাগে Skywalk’র মূল কাঠামো তৈরির কাজ জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় শুরু করতে হবে বলে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে গোটা প্রক্রিয়া ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করে ফেলতে বলা হয়েছে যাতে তা নতুন বছরের শুরুতেই জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া যায়। তবে আপাতত নির্মাণকারী সংস্থা বদল করা হচ্ছে না। কার্যত এই সময় সীমা বেঁধে দেওয়ার সূত্রেই এখন কাজ বেশ দ্রুত গতিতে চলছে। পাইলিংয়ের কাজ আগামী মাসের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা চলছে। সেখানে প্রচুর ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে কাজ হচ্ছে। তাই নির্মাণস্থল ও তার আশপাশে আমজনতার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে পুলিশকে বিশেষ পদক্ষেপ নিতেও বলা হয়েছে।