নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার কৃষিক্ষেত্রের জন্য আগেই চালু হয়েছে ‘বাংলা শস্য বিমা যোজনা’ ও ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্প। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার প্রাণিসম্পদ(Animal Resources), মৎস্য(Fish Farming) ও রেশম চাষের(Silk Farming) ক্ষেত্রেও বিমা(Insurance) আনছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। ফলে এই ৩ ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত কৃষকেরাও এবার লাভবান হতে চলেছেন। ইতিমধ্যেই এই বিমা চালু করার জন্য রাজ্যের আধিকারিকদের সঙ্গে Agriculture Insurance Company of India বা AICI’র কথাবার্তা শুরু হয়ে গিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এর ফলে প্রাণিপালন, মাছচাষ ও রেশম চাষের ক্ষেত্রে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণের সুযোগ পাবেন কৃষকরা। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের বাজেট পেশের সময়েই সরকারি ভাবে এই বিমা চালুর কথা ঘোষণা করা হতে পারে।
আরও পড়ুন ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড, ১৫৫০ কোটি টাকার Guarantor হচ্ছে রাজ্য
বুধবার কলকাতায় বণিকসভা অ্যাসোচেম আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে AICI’র CMD গিরিজা সুব্রহ্মণ্যম জানিয়েছেন প্রাণীসম্পদ, মৎস্য ও রেশম চাষের ক্ষেত্রে বিমা আনার জন্য তাঁরা দেশের বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা Insurance Regulatory and Development Authority of India বা IRDAI’র কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন। সেই অনুমতি মিলেছে। চলতি অর্থবর্ষেই তাঁরা এই বিমা বাজারে নিয়ে আসছেন। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে এই সংস্থার সঙ্গেই এখন আলোচনা চলছে রাজ্যে এই বিমা চালু করার জন্য। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সঙ্গে এই বিমা সংস্থান চুক্তি সম্পাদিত হবে। কৃষকদের হয়ে রাজ্য সরকারই বিমার অর্থ দিয়ে দেবে ঠিক যেমনটি ‘বাংলা শস্য বিমা যোজনা’র ক্ষেত্রে করা হয়। একই সঙ্গে এটাও জানা গিয়েছে যে, দেশের যে সব রাজ্যে নিজেদের মতো করে সেখানকার রাজ্য সরকারগুলি ফসল বিমা প্রকল্প চালু রেখেছে সেখানেই AICI এই বিমা বেশি করে বিক্রি করতে চায়।
আরও পড়ুন বাজারদরের ১৫ শতাংশ টাকা দিলেই মিলবে লিজ জমির মালিকানা স্বত্ত্ব
উল্লেখ্য , কৃষিক্ষেত্রকে বিমার আওতায় আনার লক্ষ্যে AICI-কে গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে General Insurance Corporation of India এবং NABARD একযোগে মূলধন ঢালে। পাশাপাশি সেখানে মালিকানা আছে National Insurance, United Insurance, Oriental Insurance ও New India Insurance’র মতো চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত সাধারণ বিমা সংস্থারও। সংস্থার মূলধনের অঙ্ক ২০০ কোটি টাকা। তবে নতুন বিমা প্রকল্প আনতে আলাদা করে কোনও মূলধন ঢালার প্রয়োজন নেই বলেই জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে AICI দেশের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার সিংহভাগ বাজার ধরে রেখেছে। এক্ষেত্রে কৃষককে প্রিমিয়ামের মাত্র ২.৫ শতাংশ দিতে হয়। বাকিটা দেয় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। রবি শস্যের ক্ষেত্রে সেই প্রিমিয়ামের হার আরও কম, ১.৫ শতাংশ। কিন্তু যে রাজ্যগুলি প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমার আওতায় নেই এবং নিজেদের মতো করে ফসল বিমা প্রকল্প চালু রেখেছে, সেখানেও পরিষেবা দিতে চায় এই সংস্থাটি।