নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) বুকে সিভিক ভলেন্টিয়ার(Civic Volunteer) নিয়োগ এক কথায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) মাস্টার স্ট্রোক। এক পথে হেঁটে তিনি রাজ্যে কর্মসংস্থানের একটা বড় দরজা খুলে দিয়েছেন। এবার তাঁর সরকার ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা(Age Limit) ২৭ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার। এ প্রসঙ্গে সরকারের নীতিগত সম্মতি ইতিমধ্যে মিলেছে বলেও নবান্ন সূত্রে খবর। সব ঠিক থাকলে আগামী লোকসভা ভোটের(General Election 2024) আগে যে কোনও দিন সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারে নবান্ন। সেক্ষেত্রে রাজ্যের বহু বেকার যুবক-যুবতী কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা চাঙ্গা রাখতে মুখ্যমন্ত্রী একদিকে যেমন শহরাঞ্চলে একাধিক পুলিশ কমিশনারেট গড়ে তুলেছেন, তেমনি গ্রামীণ এলাকায় একাধিক পুলিশ জেলা গড়ে তুলেছেন। একই সঙ্গে বড় ও জনসংখ্যা বহুল থানাগুলিকে ভেঙে নতুন একাধিক থানা তৈরিতেও নজর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জোর দেওয়া হচ্ছে মহিলা থানা এবং সাইবার থানা খোলার ক্ষেত্রে। খোলা হচ্ছে কোস্টাল থানাও। আর এই প্রতিটি ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদে নিয়োগের দরজাও খুলে যাচ্ছে। তার মধ্যে যেমন SI, ASI, OC, Sargent পদ থাকছে তেমনি থাকছে সিভিক ভলেন্টিয়ার ও গ্রীন পুলিশের পদও। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোটের আগেই কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে নতুন করে সিভিক ভলান্টিয়ার ও গ্রীন পুলিশে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। সেই সময় প্রার্থীদের বয়সের উর্ধ্বসীমা ২৭ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার কথা ভাবছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
সিভিক ভলান্টিয়ারদের একাধিক দাবি পূরণের ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় রাজ্যের Police Welfare Board। সম্প্রতি তাঁরা সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়ে সরকারের কাছে লিখিত দাবিপত্রও পেশ করে। তারপরই জানা যায়, সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার নীতিগতভাবে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা বাড়াতে সম্মত হয়েছে। বর্তমানে কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ মিলিয়ে প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার সিভিক ভলান্টিয়ার আছেন। শুরুর দিকে কর্মক্ষেত্রেস সিভিকরা অসুস্থ হয়ে পড়লে ছুটি তো দূরঅস্ত, বেতন কেটে নেওয়া হতো। তাছাড়া নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম, দুর্ঘটনা বিমা, পরিচয়পত্র ইত্যাদির কোনও বালাই ছিল না। এসব কারণে সিভিকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ছিল। ওয়েলফেয়ার বোর্ডের কর্তাদের দাবি, তাঁদের লাগাতার প্রচেষ্টার ফলেই ধাপে ধাপে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। যেমন, কনস্টেবল নিয়োগের ক্ষেত্রে কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য এখন ১০ শতাংশ ‘কোটা’ রয়েছে। চলতি বছর এপ্রিলের মাঝামাঝি রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে, কর্মরত অবস্থায় কোনও সিভিকের মৃত্যু হলে বা দুর্ঘটনার কারণে কাজ করতে অক্ষম হলে, পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হবে। এই সিদ্ধান্তে সিভিকদের সামাজিক সুরক্ষা অনেকটা নিশ্চিত হয়েছে বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।