এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

রাজ্যের সব Private Hospital’র খরচ বেঁধে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার মানুষকে(People of Bengal) নিখরচায় উন্নতমানের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে মুখ্যমন্ত্রী চালু করেছেন ‘স্বাস্থ্যসাথী’(Sasthasathi) কার্ড। এই কার্ডের দৌলতেই এখন রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালে তো বটেই, অসংখ্য Private Hospital-এও বিনামূল্যে উন্নতমানের চিকিৎসা পরিষেবা পান বাংলার আমজনতা। কিন্তু তারপরেও অভিযোগ উঠছিল রাজ্য সরকারের সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েও বেশ কিছু Private Hospital ও Nurshing Home স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে রোগী ভর্তি করছে না। পাশাপাশি যে সব Private Hospital ও Nurshing Home স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হতে চায়নি সেই সব হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে অস্বাভাবিক হারে রোগীদের পরিজনদের বিল ধরাচ্ছে। এবার সেই ব্যবস্থাতেও লাগাম টানতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের সমস্ত Private Hospital ও Nurshing Home-এ চিকিৎসা ও আনুষঙ্গিক পরিষেবার খরচের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।    

আরও পড়ুন ১০৯৪ কোটি টাকায় জলপ্রকল্প গড়ছে মমতার সরকার

জানা গিয়েছে, রাজ্যের সমস্ত Private Hospital ও Nurshing Home-এর ইন্ডোর, আউটডোর থেকে শুরু করে রক্ত পরীক্ষা, রোগ নির্ণয়—চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত ক্ষেত্রেই খরচ বেঁধে দেওয়া বা ক্যাপিং করা হবে। হাসপাতালগুলির Grade A, B, C অনুযায়ী বেড ভাড়া, আউটডোরে দেখানোর খরচ, রোগ ও রক্তপরীক্ষার খরচ নির্ধারণ করা হবে। এই পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়িত করতে নবান্নের নির্দেশে গত ২ মার্চ একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠিত হয়েছে স্বাস্থ্যদফতরে। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের নির্দেশিকা অনুসারে সেই কমিটিতে রয়েছেন ৬ জন সিনিয়র প্রশাসক ও বিশিষ্ট চিকিৎসক। আছেন দুই স্বাস্থ্য অধিকর্তাও। বেসরকারি হাসপাতাল সংগঠনগুলির একজন করে প্রতিনিধিও থাকবেন কমিটিতে। রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের সেক্রেটারি আরশাদ ওয়ারসিকে দ্রুত কমিটির বৈঠকও ডাকতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতার মতো সুন্দর আন্তরিকতা বুদ্ধবাবুর থেকেও পায়নি’: দোলন রায়

স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের দাবি, রাজ্যে প্রায় ৪ হাজার প্রাইভেট হাসপাতাল ও নার্সিংহোম রয়েছে। এর মধ্যে কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায় রয়েছে ৮০টি বড় হাসপাতাল। এই শ্রেণির হাসপাতালে ১০০ বা তারও বেশি বেড রয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট এক রায়ে বেসরকারি ক্ষেত্রে চিকিৎসার খরচ বেঁধে দেওয়ার বিষয়ে জোর দিয়েছে। সরকারও এটা করতে চাইছে। শীঘ্রই কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হবে। প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসার খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২০১৭ সালের ১৭ মার্চ West Bengal Clinical Establishment Regulatory Commission বা WBCERC গঠিত হয়। তারা এখনও পর্যন্ত ৩৩টি ‘অ্যাডভাইজারি’ প্রকাশ করেছে। তার মধ্যে ১৪টিই অবশ্য কোভিড সংক্রান্ত। হাসপাতালের ফার্মাসি বিলে ১০ শতাংশ ছাড়ের ঘোষণাও করেছে তারাই। চিকিৎসায় গাফিলতি সংক্রান্ত ১৫০০ মামলার নিষ্পত্তির পাশাপাশি প্রায় ৬৫০টি মামলায় ক্ষতিপূরণ ধার্য করেছে কমিশন। মোট ৬ কোটি ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন ভুক্তভোগীরা। কিন্তু প্রতিষ্ঠার পর ৬ বছর কেটে গেলেও প্রাইভেট হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলির পরিষেবা সংক্রান্ত খরচ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি তারা। এবার শেষ পর্যন্ত কী হয়, সেটাই দেখার! যদিও এই নিয়ে ইঙ্গিত মিলেছে বেসরকারি হাসপাতালগুলির তরফে। রাজ্য সরকার খরচ বেঁধে দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁরা আইনি লড়াইয়ের পথে হাঁটবেন। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাত পোহালেই মাধ্যমিকের ফল ! কীভাবে জানবেন রেজাল্ট

তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারিত কুণাল ঘোষ

কলকাতা বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় বন্ধ লেজার লাইট

তীব্র গরমে বাড়ছে লোডশেডিং, নাজেহাল অবস্থা আমজনতার

‘মানুষ ঠিক করে নিন, কে প্রকৃত প্রার্থী’, কুণালের মন্তব্যে নয়া বিতর্ক

প্রখর রোদে ভোট প্রচারে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ সোহম, এখন কেমন আছেন?

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর